ইসরো। ফাইল চিত্র।
বিক্রমের অবতরণ ব্যর্থ হলেও ইসরোকে জাতীয়তাবাদের হাতিয়ার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকারই গত ১ জুলাই থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী-ইঞ্জিনিয়ারদের আর্থিক সুবিধা ছাঁটাই করেছেন। গত ১২ জুন জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৯৯৬ সাল থেকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা যে উৎসাহ ভাতা পেতেন, তা বন্ধ করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
ইসরোর মতো সংস্থায় যাতে দেশের মেধাবীরা কাজ করেন, সেজন্য ১৯৯৯ সালে উৎসাহ ভাতা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা তুলে নেওয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সদ্য সমাপ্ত সংসদের অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ মতিলাল ভোরাও।
এখন চন্দ্রযানের আবহে বিজ্ঞানীদের বেতন কমানোর বিষয়টি সামনে আসায় অস্বস্তিতে মোদী সরকার। যদিও পাল্টা যুক্তিতে আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কার্যকর হওয়া এবং কাজের উৎকর্ষের ভিত্তিতে দেওয়া উৎসাহ ভাতা (যা বিজ্ঞানী ও মহাকাশবিজ্ঞান কর্মীদের মূল বেতনের ৪০ শতাংশ) চালু হওয়ায় পুরনো উৎসাহ ভাতা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্রের দাবি, ইসরো একা নয়। অনেক দফতরেই ওই উৎসাহ ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, এর ফলে গড়ে দশ হাজার টাকা করে কম পাবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ঘনিষ্ঠ মহলে ইসরোর এক তরুণ বিজ্ঞানীর মন্তব্য, ‘‘মোদী যতই বাহবা দিন, অর্থনৈতিক দিক থেকে ইসরো এবং রুগ্ণ সংস্থার কোনও ফারাক নেই।’’
স্পেস ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে ইসরো প্রধান কে শিবনের কাছে। সংগঠনের যুক্তি, কাজের উৎকর্ষের ভিত্তিতে দেওয়া বাড়তি অর্থ ও উৎসাহ ভাতা এক বিষয় নয়। একটি মূল বেতনের অংশ, অন্যটি উৎসাহ ভাতা। তাই অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy