Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Farmers' Protest

কৃষকদের সমর্থনে কংগ্রেসের মিছিলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি ভোপালে

শান্তিপূর্ণ মিছিলে দলের সমর্থকদের প্রতি পুলিশের এই আচরণের নিন্দা করেছে কংগ্রেস।

মিছিল হঠাতে জলকামান পুলিশের।

মিছিল হঠাতে জলকামান পুলিশের। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:০৯
Share: Save:

এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ, মুহুর্মুহু জলকামান সেই সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস। কংগ্রেসের কৃষি আইন বিরোধী মিছিল ঘিরে ব্যাপক অশান্তি ভোপালে। পুলিশের মারে আহত বহু কংগ্রেস সমর্থক। ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীও। শান্তিপূর্ণ মিছিলে দলের সমর্থকদের প্রতি পুলিশের এই আচরণের নিন্দা করেছে কংগ্রেস।

বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতায় এবং আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে মধ্যপ্রদেশে দু’সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। শনিবার সেই মতো রাজধানী ভোপালে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে মিছিলে নামেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাতে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।

শনিবার সকালে প্রথমে জওহর চকে কংগ্রেস সমর্থকরা জড়ো হন। রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। পরিকল্পনা ছিল, রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলের বাসভবন ঘেরাও করে বিতর্কিত আইন তিনটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো। সেই মতো বাসের মাথায় চেপে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় কমলনাথকে।

কিন্তু রাজভবনে যাওয়ার অভিমুখে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ফিরে না গেলে বলপ্রয়োগ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে দমে যাওয়ার পরিবর্তে ব্যারিকেড ঠেলে এগোনোর চেষ্টা করে মিছিল। তাতেই কংগ্রেস সমর্থকদের উপর জলকামান দাগে পুলিশ। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ।

সংবাদমাধ্যমে মিছিলের যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, প্ল্যাকার্ড এবং পতাকা হাতে পুলিশের মার থেকে বাঁচতে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস সমর্থকরা। আবার জলকামানের মুখে পড়েও, পুলিশের গাড়ি ঘিরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক জন। লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি জোগাড় করেই মিছিল বার করা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ভাবেই এগোচ্ছিল মিছিল। তার পরেও পুলিশের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন দলের নেতার।

কংগ্রেস সাংসদদের টুইটার হ্যানডলে গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখা হয়, ‘কংগ্রেস কর্মকর্তাদের উপর লাঠিচার্জ। শিবরাজের স্বৈরাচার ব্রিটিশ শাসনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ভোপালে শান্তিপূর্ণ মিছিলে শিবরাজের নির্দেশে যে ভাবে লাঠিচার্জ করা হয়েছে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে, তা ইংরেজদের দমননীতিকেই মনে করাচ্ছে। শিবরাজের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা’।

কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে প্রায় দু’মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ১০ দফা বৈঠক করলেও, কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। কেন্দ্র যদিও আগামী দেড় বছরের জন্য আইন তিনটি স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি কৃষকরা। সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy