আবার জয়ী সুদীপ। ফাইল চিত্র
আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে স্বস্তিতেই বিজেপি। চার আসনের উপনির্বাচনে তিনটিতে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে তাতেও মোট আসনের থেকে একটি কমে গেল। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে বিজেপি জিতেছিল ৩৬টিতে। এর মধ্যে একটি আসন ছিল আগরতলা। বিধায়ক হয়েছিলেন সুদীপ রায়বর্মণ। এ বার সেই সুদীপই কংগ্রেসের টিকিটে আগরতলা থেকে বিধায়ক হলেন। ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়ে গেল ৩৫। আর কংগ্রেস শূন্য থেকে একে পৌঁছল। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন আরও এক বিধায়ক আশিসকুমার সাহা। তবে টাউন বরদওয়ালি আসন থেকে তিনি জিততে পারেননি। হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। বামেদের আসন সংখ্যা কমে হয়ে যায় ১৬। তবে কংগ্রেস খাতা খুলতেই পারেনি। সেই ক্ষত কিছুটা হলেও পূরণ করলেন সুদীপ। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এই জয় যতটা না কংগ্রেসের তার চেয়ে বেশি সুদীপের। ওই মহলের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনে একবারই হেরেছেন সুদীপ। সেটা ১৯৯৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর কাছে। এর পরে ১৯৯৮ সাল থেকে আগরতলার বিধায়ক সুদীপ। বরাবর কংগ্রেসের টিকিটেই জিতেছেন। তাঁর বাবা ত্রিপুরায় সুধীররঞ্জন বর্মণ ত্রিপুরায় কংগ্রস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বরাবর কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও সুদীপ ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে জিতে বিপ্লব দেব সরকারের মন্ত্রী থেকেছেন। এখন বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেন।
তবে দলবদলের নজির আগেও রেখেছেন সুদীপ। ২০১৬ সালে আরও পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আবার ২০১৭ সালে সকলকে নিয়ে চলে যান বিজেপিতে। এ বার অবশ্য যাঁদের নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের সকলকে সঙ্গে পাননি। গিয়েছিলেন শুধু আশিসকুমার। সুদীপ জিতলেও তিনি পরাজিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy