মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেস আসন সমঝোতা করতে চাইছে। কিন্তু কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি নিচুতলার নেতানেত্রীর বিবৃতির লড়াইয়ে বোঝাপড়া ধাক্কা খেল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, জাতীয় স্তরে বিরোধী দলগুলির ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আম আদমি পার্টিকে চারটি লোকসভা কেন্দ্র ছেড়ে দিয়ে কংগ্রেস বাকি তিনটি আসনে লড়তে রাজি। অন্যান্য রাজ্যে আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের ভোট ভাঙাতে না গেলে কংগ্রেস অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে দিল্লির পাঁচটি আসন পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে নিজেরা দু’টি আসনে সন্তুষ্ট থাকবে। সূত্রের খবর, অরবিন্দ কেজরীওয়াল নিজেও দিল্লি,পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাতেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে চাইছেন। কারণ, ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভায় বেশির ভাগ আসনে জিতে কেজরীওয়াল ফের মুখ্যমন্ত্রী হলেও লোকসভা ভোটে তাঁর দল দিল্লির একটি আসনও জিততে পারেনি। বিজেপি সাতটি আসনই জিতেছিল। আপ নয়, কংগ্রেসই সব আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল।
এই আসন সমঝোতা নিয়ে দিল্লির নেতাদের মত জানতে ও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করতে আজ মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধী দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে রাহুল কংগ্রেস নেতাদের বিরোধ ভুলে এককাট্টা হয়ে গোটা দিল্লিতে সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দেন। বলেন, বিধানসভায় কংগ্রেস যেমন আম আদম পার্টির বিরোধিতা করছে, তেমনই করবে। লোকসভায় জোট হবে কি না, তা নিয়ে সময়মতো সিদ্ধান্ত হবে। জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ও আপ একসঙ্গে বিজেপির বিরোধিতা করবে।
কিন্তু বৈঠক শেষে দিল্লির কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁদের সাতটি লোকসভা আসনের জন্যই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এরপরেই সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়ে যায়, কংগ্রেস দিল্লির সাতটি আসনেই ভোটে লড়বে। আপ-এর সঙ্গে জোট হবে না। তা শুনে আপ নেতারা পাল্টা মন্তব্য করেন, কংগ্রেস যদি আপ-এর সঙ্গে রাজ্য স্তরে আসন সমঝোতা না করে, তা হলে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে গিয়ে অরবিন্দ কেজরীওয়াল কেন সময় নষ্ট করবেন? আপ-নেতৃত্ব এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিরোধী জোটে ভাঙন ধরছে দেখে এআইসিসি-তে দিল্লির ভারপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবরিয়া মাঠে নামেন। তিনি জানিয়ে দেন, জোট নিয়ে কোনও আলোচনাই এই বৈঠকে হয়নি। শুধুমাত্র সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসের যিনি মন্তব্য করেছেন, তাঁর এ বিষয়ে কথা বলার অধিকার নেই। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট দেখে আপ-এর ‘অপরিণত’ নেতাদের মন্তব্যেরও নিন্দা করেন তিনি।এর পরে, সন্ধ্যায় ফের দিল্লির নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে দিল্লির সব নেতাই বলেছেন, তাঁরা আপ-এর সঙ্গে জোটের পক্ষে নন। তবে কংগ্রেস হাইকমান্ডই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক। একমাত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ জোটের প্রবল বিরোধিতা করেছেন। তবে আপ-এর সঙ্গে জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দিল্লির প্রদেশ সভাপতি পদে বদল হতে পারে।রাহুল সকলের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলে কাকে সভাপতি করা উচিত, তা নিয়ে মতামত জানতে চান। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণার সঙ্গেই দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির প্রদেশ সভাপতি বদল হতে পারে। সূত্রের মতে এত দিন মলমাস চলছিল। বুধবার তা শেষ হচ্ছে। এ বার নতুন ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy