পার্টি অফিসে কংগ্রেস সমর্থকদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
প্রকাশ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল! মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সদর দফতরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন সে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ এবং কমলনাথের সমর্থকেরা। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মারামারির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যালয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র শাহরিয়ার খান এবং মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের তফসিলি জাতি বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ আহিরওয়ারের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় দিয়ে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত। দিগ্বিজয় এবং কমলনাথের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে শাহরিয়ার পরিচিত দিগ্বিজয়-ঘনিষ্ঠ হিসাবে। অন্য দিকে, প্রদীপের দহরম-মহরম কমলনাথের সঙ্গে বেশি বলেই শোনা যায়। শাহরিয়ারের অভিযোগ, সম্প্রতি শেষ হওয়া মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিট বণ্টন নিয়ে দিগ্বিজয়কে গালিগালাজ করেন প্রদীপ। আর তার পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস সমর্থকেরা একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেছেন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে চেয়ার তুলে একে অপরের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায় কংগ্রেস সমর্থকদের।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো নিয়ে কংগ্রেসকে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন মধ্যপ্রদেশের গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা। যদিও দিগ্বিজয় বা কমলনাথ এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত ‘উড়ে গিয়েছে’ কংগ্রেস। ২৩০ আসনের বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। অন্য দিকে, কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬৬টি আসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy