মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শুক্রবার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
শুক্রবারই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে ১০ জনপথ রোডে সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।
এ দিন সকালের ওই বৈঠকের পর কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে শুক্রবার। সরকার গড়তে পারে নতুন জোট। শিবসেনা-ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র মধ্যে আগেই জোটের কথাবার্তা হয়েছিল। জল্পনা চলছিল, কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন করবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে সেই সম্ভাবনা থমকে যায়। এর পর বুধবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তার পরেই তৎপর হয় কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সরকার গঠনের তাদের ভূমিকা থাকবে। কিন্তু বাইরে থেকে সমর্থন, না কি সরকারে অংশ নেবে তারা, তা জানা যায়নি।
তবে তিন পক্ষের সরকারে থাকার জল্পনা আরও জোরদার করেছে এনসিপি নেতা নবাব মালিকের বক্তব্য। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসেকে ছাড়া মহারাষ্ট্রে কোনও সরকার গঠিত হতেই পারে না।’’
আরও পড়ুন: অবিশ্বাসের আবহেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রস্তুতি
আরও পড়ুন:লক্ষ্য থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিক্রম, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্র
অচলাবস্থা যে কাটতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়েছে শিবসেনাও। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত এ দিন সকালে সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দু’দিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।’’
সরকার গড়ার বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার রাতেই পওয়ারের বাড়িতে যান কংগ্রেস ও এনসিপি-র শীর্ষ নেতারা। বৈঠক শেষে দু’দলই জানিয়েছিল, ইতিবাচক হয়েছে আলোচনা। এ দিন সকালে সনিয়ার বাসভবন থেকে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপালও। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে আলোচিত বিষয়গুলি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা হয় দলের অন্দরে।’’ বেনুগোপাল আরও জানাচ্ছেন, শুক্রবারে মুম্বইয়ে একটি বৈঠক হবে। সরকার গঠনের সমস্ত শর্তগুলি খতিয়ে দেখে সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়ার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না সোনিয়া গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শরদ পাওয়ারের বৈঠক কংগ্রেসকে বার্তা দেয় ,বড় সুযোগ হাতছাড়া হতে চলেছে। ওয়ার্কিং কমিটিও নেত্রীকে বোঝায়, জোট গঠনের ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়াই উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy