আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার লগ্নি রয়েছে এলআইসি-র। ফাইল চিত্র।
ঠিক এক বছর আগে, ২০২২ সালের মে মাসে বাজারে আসার পরেই হোঁচট খেয়েছিল ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের (এলআইসি) শেয়ার। বছর ঘোরার সময় প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, শেয়ার বাজারে ৪০ শতাংশেরও বেশি মূলধন হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটি। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে বুধবার নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। সঙ্গে এসেছে আদানি গোষ্ঠীর নামও।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসের গোড়ায় ৯৪৯ টাকায় এলআইসির আইপিও বিক্রি করা হয়েছিল। কিন্তু ১৭ মে বাজারে আসার পরেই শেয়ারের দাম ৮৬৭ টাকায় নেমে আসে। চলতি বছরের গোড়ায় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ ওঠার পরে এলআইসির শেয়ারে আরও পতন ঘটেছিল। অভিযোগ ওঠে, প্রতারণার ‘খবর’ মেলার পরেও আদানিদের সংস্থায় লগ্নি বাড়িয়েছিল ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। আর জীবনবিমা গ্রাহকদের টাকায় সেটা করতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে সে সময় প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন এলআইসি কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছিল, ‘‘২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের হিসাবে তাঁদের মোট সম্পত্তির মূল্য ৪১ লক্ষ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসাবে আদানি গোষ্ঠীর সবক’টি সংস্থা মিলিয়ে এলআইসির কেনা শেয়ারের মূল্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ, সংস্থার মোট সম্পদের ১ শতাংশও নয়। ফলে তর্কের খাতিরে আদানি গোষ্ঠীর ভরাডুবির সম্ভাবনা মেনে নিলেও তাতে এলআইসির ‘বিপুল ক্ষতির’ কোনও সম্ভবনা নেই। এলআইসির ব্যবসা এবং লগ্নি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আদানিদের হাতে রয়েছে বলে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরকেও ‘অসত্য’ বলেছেন এলআইসি কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তাতে শেয়ার বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এলআইসি। বছর ঘোরার আগেই শেয়ার বাজারে এলআইসির মূলধন ৪০ শতাংশ কমে যাওয়া নিয়ে বুধবার কেন্দ্রকে দুষেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, ‘‘আজ থেকে ঠিক ১ বছর আগে শেয়ার বাজারে নথিভুক্তির সময় এলআইসির মূলধন ছিল ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আজ তা ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটিতে নেমে এসেছে।’’ ক্ষতির কারণ হিসাবে আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগকে দায়ী করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে এলআইসির ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ লক্ষ বিমা গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত। এই পতনের একমাত্র কারণ ‘মোদানি’ (নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানি)।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy