অসম বিধানসভার মূল প্রবেশপথে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের সব বিধায়ক। ছবি: পিটিআই।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে আজ অসম বিধানসভায় কালো পোশাক পরে হাজির হন কংগ্রেসের সব বিধায়ক। বিধানসভার মূল প্রবেশপথে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়ার দাবি ছিল, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে বিধানসভায় রাহুল প্রসঙ্গে আলোচনা হোক। সরকার পক্ষ ও স্পিকার সেই দাবি না-মানায় বিধানসভায় হুলস্থুল চলতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা রাহুলকে ‘অপরিপক্ক রাজনীতিবিদ’ বলায় আরও ক্ষিপ্ত হয় কংগ্রেস। তারা ‘রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলায় বিজেপি পাল্টা ‘রাহুল গান্ধী মুর্দাবাদ’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে থাকে। ১৫ ও ২০ মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হন স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি। হিমন্ত স্পিকারের কাছে আবেদন জানান, নাগাড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কংগ্রেসের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ও রাইজর দলের বিধায়ক অখিল গগৈকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হোক। স্পিকার কমলাক্ষ, অখিল ও কংগ্রেসের জাকির হুসেন শিকদারকে সাসপেন্ড করে মার্শাল দিয়ে বার করে দেন।
হিমন্ত বলেন, ‘‘আদালত কোনও সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত।। আমরা বিধানসভায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি না। কংগ্রেস আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করুক। এ ভাবে কালো পোশাক পরে বিধানসভা আসা উচিত নয়।’’ মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতাদের এখন অন্তত গান্ধী পরিবারের মায়া ও ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।’’ পূর্ব গুয়াহাটির বিধায়ক সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কংগ্রেসের আদালতে আস্থা নেই, তারা কী ভাবে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে?’’ হিমন্ত মনে করান, সাজাপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের পদ খারিজ রুখতে ইউপিএ সরকারের আনা অধ্যাদেশ ছিঁড়ে ফেলার কথা বলেছিলেন রাহুলই। সেই আইনেই তাঁর পদ বাতিল হয়েছে। এতে অসম বিধানসভার বা বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy