সচিন পাইলট হাজির ছিলেন। কিন্তু নয়াদিল্লিতে গিয়ে রবিবার কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। অসুস্থতার কারণে রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যৌগ দিয়েছিলেন তিনি।
সেই বৈঠকের পরেই রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের বড় ধরনের রদবদল করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি খড়্গে। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে ২১ জন সহ-সভাপতি ৪৮ জন সাধারণ সম্পাদক-সহ একাধিক পদাধিকারী নিয়োগ করা হয়েছে রাজস্থান কংগ্রেসে। তাঁদের মধ্যে বড় অংশই পাইলট অনুগামী। তা ছাড়া জেলা সভাপতি পদেও এসেছে নানা নতুন মুখ। গহলৌত-পাইলট শিবিরে ভারসাম্য রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে এআইসিসি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে ছিল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তখন গহলৌতকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি সভাপতি হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে পারেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পাইলট, এ রকমই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে সময় গহলৌত অনুগামী ৮২ জন বিধায়ক কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁরা এআইসিসি প্রতিনিধিদের বৈঠকেও হাজির হননি। শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে সরিয়ে দিয়েছিল গহলৌতকে।
২০২০ সালে গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ চালাতে গিয়ে ‘ব্যর্থ’ হয়েছিলেন পাইলট। সে সময় অনুগামী ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লির কাছে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রত্যাশী পাইলটের এই পদক্ষেপে কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয় যে, বিজেপির সহায়তায় তিনিও রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে পারেন। তবে কিছু দিন পরেই বিদ্রোহে ইতি টানেন রাজেশ পাইলটের পুত্র। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে।