গত বছর জুলাইয়ে আমদাবাদ গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, যে অযোধ্যা থেকে বিজেপির উত্থান হয়েছিল, সেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরেছে। এবার গুজরাতেও বিজেপিকে হারানো হবে।
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন এখনও আড়াই বছর দেরি। তবে আজ থেকেই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতে কংগ্রেসের সংগঠন চাঙ্গা করার চেষ্টা শুরু করলেন রাহুল। আজ আমদাবাদে পৌঁছে তিনি প্রায় টানা নয় ঘণ্টা ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জেলা, শহর, তালুক সভাপতিদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান পদাধিকারীদের সঙ্গেও ছিল আলাদা বৈঠক। শনিবার তিনি গুজরাতের কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলনে যোগ দেবেন।
কাকতালীয় ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শুক্রবার গুজরাতে পৌঁছেছেন। শনিবার তিনি সুরাতের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নারী দিবসে নভসারীতে মহিলাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে কেন্দ্রের ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের
সঙ্গে প্রায় ১ লক্ষ মহিলা যোগ দেবেন। পুরো অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন আড়াই হাজার মহিলা পুলিশ অফিসার।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল। কিন্তু ২০২২-এ রাহুল গান্ধী গুজরাতের বিধানসভা ভোট নিয়ে কোনও আগ্রহই দেখাননি। ২০২৭-কে পাখির চোখ করে কংগ্রেস আগামী এআইসিসি-র অধিবেশন গুজরাতে করতে চলেছে। ২০২৫-এ গোটা কংগ্রেসেরই সংগঠন চাঙ্গা করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬৪ বছর পরে গুজরাতে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন বসবে। ৮-৯ এপ্রিলের অধিবেশনে প্রথমে আমদাবাদে সর্দার প্যাটেল স্মৃতিসৌধে বর্ধিত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। কারণ এ বছর বল্লভভাই পটেলের সার্ধশতবর্ষ। তারপরে সবরমতী রিভারফ্রন্টে এআইসিসি-র অধিবেশন বসবে।
১৯৯৫ সাল থেকে বিজেপি গুজরাতে ক্ষমতায়। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন,
‘‘২০২৭-এ যদি সত্যিই গুজরাতে বিজেপিকে হারানো যায়, তা হলে ২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে। রাহুল গান্ধী সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন।’’