(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং (ডান দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী । —ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লি, ১৮ অক্টোবর : চতুর্থীর সকালে কংগ্রেসের সদর দফতরে বসে একই তিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিদ্যুতের দাম বিপুল ভাবে বেড়ে যাওয়ার জন্য তিনি সরাসরি আদানির কয়লা আমদানি নীতিকে দায়ী করে বলেন, সাধারণ লোকের পকেট থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা চুরি করা হয়েছে। কয়লার দাম ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরে রাহুল বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এই চুরি করার পরেও আদানিকে সুরক্ষা এক জনই দিতে পারেন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি যা ইচ্ছে করার স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন আদানিকে।”
চব্বিশের লোকসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে তিনি এবং তাঁর দল এই কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করবে কি না জানতে চাওয়া হলে রাহুল বলেন, “যদি কেউ ৩২ হাজার কোটি টাকা চুরি করেন তবে অবশ্যই তদন্ত হবে।” তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্যই করতে চাইছি। তাঁকে বলছি তদন্ত করুন, নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করুন।” রাহুলের বক্তব্য, দেশের মানুষ যখনই পাখা, আলো বা পাম্পের জন্য সুইচ চালু করছেন, টাকা যাচ্ছে আদানির কাছে। তাঁর কথায়, আদানি ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনেন। সেটা ভারতে আসতে আসতে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বিষয়টিকে আসন্ন ভোট মরসুমে যে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস, তা-ও আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বলেছেন, “এখন গ্রামে গ্রামে মানুষ জেনে গিয়েছেন, কোথায় চুরি হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কছে দাবি করছি, কৈফিয়ত দিন।”
এর আগেও আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির ‘ঘনিষ্ঠতা’র অভিযোগ এনে কংগ্রেস সরব হয়েছে। দেশি-বিদেশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট বা গবেষণা সংস্থার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আদানিদের
শেয়ার দরে কারচুপি, নিজের সংস্থার টাকা বিদেশে পাঠিয়ে আবার ঘুরপথে দেশে ফিরিয়ে এনে নিজের শেয়ারে লগ্নি করার অভিযোগ নিয়ে রাহুল সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব হয়েছেন। তাতে মোদী আদানিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুললেও, এ সবের ফলে সাধারণ মানুষের কী সমস্যা হচ্ছে, তা বোঝানো যায়নি।
এ বার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কয়লা আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ ওঠায় কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির মনে করছে, এতে সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবেন যে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কারণ, আদানি গোষ্ঠীর কারচুপির ফলে আমজনতাকে চড়া হারে বিদ্যুৎ মাসুল গুনতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy