Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Adani Coal Scam

‘কয়লা আমদানির বেশি খরচ দেখিয়ে জনতাকে লুটেছেন আদানি’, তদন্ত দাবি করলেন রাহুল

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ, বিশেষত কয়লার খরচের উপর মাসুল ঠিক হয়। অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠী তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাগজে-কলমে কয়লার খরচ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৭
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে আবার নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর্থিক গবেষণা সংস্থার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগের পরে এ বার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কয়লা আমদানির খরচ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে।

বুধবার এআইসিসি সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল মনে করিয়ে দিয়েছেন, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের মতোই কয়লাকাণ্ডেও আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা ১২ হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদী নীরব। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আদানিদের বিরুদ্ধে সমস্ত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত হবে।’’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই লন্ডনের ফিনান্সিয়াল টাইমস তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলারে মূল্যের কয়লা আমদানি করে, কাগজে-কলমে বাজারদরের তুলনায় দ্বিগুণ দাম দেখিয়েছিল। সেই মিথ্যে দামের ভিত্তিতেই চড়া বিদ্যুতের মাসুল নির্ধারিত হয়। তা আমজনতা ও কারখানার মালিকদের মেটাতে হয়। সেই সুবাদে খরচের তুলনায় ৫২ শতাংশ মুনাফা করে আদানি গোষ্ঠী।

অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠী ২০১৯ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ৩০টি জাহাজে ৩১ লক্ষ টন কয়লা আমদানি করেছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজ ছাড়ার সময় কয়লার ঘোষিত মূল্য ১,০৩৭ কোটি টাকা। সেই কয়লারই দাম ভারতে এসে শুল্ক দফতরকে জানানো হয়েছে ১,৫৪০ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি-ও আদানির থেকে কয়লা কিনেছিল। ফলে করদাতাদের টাকায় বেশি দামে কয়লা কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে আদানি গোষ্ঠী বেআইনি ভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়তি লাভ বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। রাহুল বুধবার বলেন, ‘‘আদানিদের বেআইনি লাভের জন্যই বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE