সাম্প্রতিক সময় একের পর এক নির্বাচনে হার। সাংগঠনিক স্তরে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দায়ভার আবারও শীর্ষ নেতৃত্বের উপর চাপালেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। নাম না করে রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান প্রজন্মকে এখন উপদেশ বা পরামর্শ দিতে যাওয়াও বৃথা। দিলেই তা অপরাধ বা বিদ্রোহ হিসেবে গণ্য হয়।’’
জম্মুর রামবান এলাকায় একটি জনসভার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আজাদ জানান, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয় গাঁধীর সঙ্গে প্রবীণ নেতাদের সম্পর্ক আজও ভাল। কিন্তু নতুন প্রজন্ম প্রবীণদের কথা শুনতেই চায় না।
নির্বাচনে হার নিয়ে দলের অন্দরে পর্যালোচনা, সাংগঠনিক স্তরে রদবদল এবং নতুন রণকৌশল নিয়ে ফিরে আসার দাবি জানিয়ে গত বছর সনিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন যে ২৩ জন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, আজাদ তাঁদের এক জন। ওই পত্রবোমার পরই দলের অন্দরে তীব্র সমালোচিত হতে হয়েছিল আজাদ, কপিল সিব্বলদের।
আজাদ আবারও বললেন, ‘‘দলের বর্তমান প্রজন্ম কোনও পরামর্শই নিতে চায় না। যদি অভিজ্ঞ নেতা কোনও পরামর্শ দিতে যান, তা হলে সেটাকে অপরাধ বা বিদ্রোহ বলে গণ্য করা হয়। সত্যিই কষ্ট হয় যখন আমাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমরা দলের ভালর জন্যই কথা বলি। পদ চাই না আমাদের। শুধু চাই, দল নির্বাচনে ভাল ফল করুক। এটা এমন একটা সময়, যখন সরকার পক্ষ শক্তিশালী এবং বিরোধী পক্ষ অত্যন্ত দুর্বল।’’
আরও পড়ুন:
দলের সভাপতি পদে নির্বাচনে বিলম্ব হওয়া নিয়েও শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেন আজাদ। তিনি বলেন, ‘‘আগে দলে প্রত্যেক বছর নির্বাচন হত। তার পর তা বেড়ে প্রথমে দু’বছর, পরে পাঁচ বছর হল। এখন তো কোনও সময়সীমাই নেই আর।’’
কংগ্রেসের কি সত্যিই অধঃপতন ঘটছে? এই প্রশ্নে জবাবে আজাদ বললেন, ‘‘সেটা তো সবাই দেখতে পাচ্ছে।’’