ডাল্টনগঞ্জের সভায় নরেন্দ্র মোদী। সোমবার। ছবি: সৈকত চট্টোপাধ্যায়
সপ্তাহ খানেক আগে বলেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অযোধ্যা বিতর্ক জিইয়ে রাখার জন্য নিশানা করলেন কংগ্রেসকে। ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে আর এক দফায় ক্ষমতায় ফেরাতে আজ ছিল তাঁর প্রথম নির্বাচনী সভা। ডাল্টনগঞ্জের সভায় মোদী কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডির জোটকে ‘ক্ষমতালোভী’ আখ্যা দেন। বলেন, ‘‘এরা চলে নিজেদের স্বার্থে। এদের সরকার আগে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই রাজ্যকে শোষণ করেছে, অবহেলা করেছে রাজ্যের মানুষকে।’’ মোদীর আক্রমণের মূল নিশানা অবশ্য ছিল কংগ্রেস।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলা এখনও ঝুলে থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলায় রায় দিয়েছে সম্প্রতি। কার্যত তার কৃতিত্ব নিজেদের ঝুলিতে ভরতে মোদীর মন্তব্য, ‘‘আমরা পুরনো অনেক সমস্যা মিটিয়ে ফেলছি। সমস্যা জিইয়ে রাখি না আমরা।’’ অযোধ্যার বিতর্কিত স্থলের জমি হিন্দুদের দিয়ে অযোধ্যাতেই নজরে পড়ার মতো কোনও জায়গায় মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। ট্রাস্ট গড়তে বলেছে রামমন্দির নির্মাণে। রায় পর্যালোচনার পথ এখনও খোলা। এরই মধ্যে মোদীর দাবি, অযোধ্যায় বাকি কাজ খুব শীঘ্রই সেরে ফেলবে সরকার। কারণ তাঁরা কংগ্রেসের মতো সমস্যা পুষে রাখেন না নিজেদের স্বার্থে। এই সূত্রেই তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস চাইলে অনেক আগেই অযোধ্যা সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারত। কিন্তু ভোটব্যাঙ্ক খোয়ানোর ভয়ে তারা তা করেনি। দেশকে যা আহত করেছে। একই উদ্দেশ্যে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের প্রশ্নটিও ঝুলিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস।
বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের ফারাক প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্য, ‘‘যারা দেশের সেবা করছে আর যারা দেশকে লুটছে, এই ভোট তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। কংগ্রেসে কাছে আছে সমস্য। আমাদের কাছে সমাধান। ওদের আছে অভিযোগের তালিকা। আমাদের কাছে কাজের খতিয়ান। ওদের আছে ফাঁপা প্রতিশ্রুতি। আমাদের কাছে আছে উন্নয়নের প্রমাণ।’’
আরও পড়ুন: ঘোড়া, আস্তাবল ও জকিকে নিয়ে চর্চা
কংগ্রেস গত কাল ঘোষণা করেছে, রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরলে ঝাড়খণ্ডে এবিসি কোটা দ্বিগুণ করে দেবে। মাফ হবে কৃষিঋণ। তার পাল্টা হিসেবে মোদী আজ ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনে বিজেপি তথা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন। উল্লেখ করেন, বাজপেয়ীই আদিবাসী কল্যাণে আলাদা মন্ত্রক তৈরি করেছিলেন। আগের ৫০ বছরে যা হয়নি। সঙ্গে মোদীর আশ্বাস, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে ঝাড়খণ্ডের জল-জঙ্গল-জমি সুরক্ষিত রাখার কাজ চালিয়ে যাবে।
কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপি শাসন থাকলেই ঝাড়খণ্ডবাসীর লাভ বেশি, তা বোঝাতে পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ের প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। বলেন, ‘‘এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি-বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের সরকারের বাধার কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই রাজ্যগুলির মানুষ।’’ সঙ্গে মোদীর দাবি, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নীতির কারণে দ্বিগুণ লাভ পাচ্ছেন কৃষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy