—ফাইল চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে দেশ জুড়ে ‘জয় বাপু, জয় ভীম, জয় সংবিধান অভিযান’ শুরু করবে কংগ্রেস। এই অভিযানে দেশের প্রতিটি জেলায় গিয়ে প্রচার করা হবে, আরএসএস ও বিজেপি বাবাসাহেব অম্বেডকরকে প্রথম বার অসম্মান করেনি, বহু বছর ধরেই তারা এই কাজ করে আসছে। আর শুধু ব্যক্তি অম্বেডকরকেই নয়, দেশের সংবিধানকেও অপমান করা হয়েছে বলে প্রচার করতে চাইছে কংগ্রেস। নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে আজ এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। ‘ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট’ তুলে ধরে পবন দাবি করেন, ১৯৪৯ সাল থেকেই আরএসএস অম্বেডকরকে অপমান করে এসেছে, তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
সম্প্রতি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অম্বেডকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের চরম বিরোধিতার রাস্তা নিয়েছে বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া-র দলগুলি। সংসদের ভিতরে এই নিয়ে বিরোধী জোটের ঐকমত্য থাকলেও, বাইরে প্রতিটি দল নিজের মতো করে বিষয়টি নিয়ে রণকৌশল তৈরি করছে। তবে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সক্রিয় কংগ্রেসই। অনেকের মতে, চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘চারশো পার’ স্লোগানের বিপরীতে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে সফল একটি ভাষ্য তৈরি করতে পেরেছিল কংগ্রেস। সেটি হল, চারশো পার করে বিজেপি তথা মোদী আসলে অম্বেডকরের সংবিধান বদলে দিয়ে সংরক্ষণ তুলে দিতে চাইছেন।
এর পর হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে খারাপ ফল করার পর, কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের হাতে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো সুযোগ নিয়ে আসে অম্বেডকর সম্পর্কে অমিত শাহের মন্তব্য। আজ সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা ২৬ জানুয়ারি থেকে তাঁদের প্রচারাভিযানের কথা জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘১৯৪৯ সালে যখন সংবিধান পাশ করা হচ্ছিল, সেই ৩০ নভেম্বর আরএসএস তাদের ইংরেজি মুখপত্রে বলেছিল, এই সংবিধান অভারতীয়। অম্বেডকরজি যখন মহিলাদের সমানাধিকারের কথা বলছেন, রামলীলা ময়দানে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছিল আরএসএস। আজ শুধু বাবাসাহেব নন, মহাত্মা গান্ধীজির ঐতিহ্যকেও আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের জন্য মন্দির বানানো হচ্ছে, সমাজমাধ্যমে গুণগান করা হচ্ছে। তাঁকে নায়ক বানানোর চেষ্টা চলছে সঙ্ঘের পক্ষ থেকে। এটা তাদের রাজনৈতিক শাখা বিজেপির মূল লক্ষ্য।’’ পবন বলেন, ‘‘বিজেপি ৪০০ আসন নিয়ে সংবিধান বদল করলে ভারতীয় নোটের থেকে গান্ধীজির ছবিও সরিয়ে দেওয়া হত। কার ছবি বসানো হত আপনারা ভাবতেও পারবেন না। গোটা বিশ্ব যাঁকে নীতির মাপদণ্ড ভাবে, শাসক দল তাঁকে ধীরে ধীরে সরানোর
ষড়যন্ত্র করছে।’’
সংবিধান নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা পবন খেরা ভারতের চিন নীতিরও সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি দু’টি কাউন্টি তৈরি করেছে চিন যা ভারতের লাদাখের মধ্যে পড়ছে। ভারত এই বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক ভাবে আপত্তি জানিয়েছে। খেরার বক্তব্য, এই প্রতিরোধ খুবই সামান্য। প্রধানমন্ত্রী মোদীর উচিত এ ব্যাপারে বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া। বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টি লঘু করে দেখছে বলেই মনে করছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy