এ বার রাজস্থানের দুই কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদের নিষ্পত্তি করতে চাইছেন। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকে জয়ের পরে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যের দুই নেতা সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমারের টানাপড়েন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তা সামলে উঠে তাঁরা এ বার রাজস্থানের দুই কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদের নিষ্পত্তি করতে চাইছেন। ডিসেম্বরে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজস্থানের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা করতে শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
গত তিন বছর ধরেই সচিন পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ভোটের মাত্র ছ’মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল করে পঞ্জাবের ভুলের পুনরাবৃত্তি করা হবে না। বিজেপি যখন নরেন্দ্র মোদীর ওবিসি পরিচিতিকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাচ্ছে, তখন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ওবিসি নেতা গহলৌতকেও সরাতে চায় না কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে পাইলটকে জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। পাইলট তা মেনে নেবেন, এমন সম্ভাবনা অবশ্য কম।
কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, পাইলট কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও এখন তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি ১১ জুন তাঁর প্রয়াত পিতা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুবার্ষিকীতে নতুন আঞ্চলিক দল ঘোষণা করে, আম আদমি পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজস্থানের ভোটে লড়তে পারেন। তাতে কংগ্রেসের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও পাইলট যেভাবে কর্নাটকের ভোটের মুখে রাজস্থানে ‘জন সংঘর্ষ যাত্রা’ করেছেন, নিজের সরকারের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছেন, মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতকে ৩০ মে-র মধ্যে তাঁর দাবি মানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাতে কংগ্রেস হাইকমান্ড ক্ষুব্ধ। পাইলট বসুন্ধরা রাজের বিজেপি সরকারের আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দাবি করেছেন। রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। পাইলটের যে কোনও পদক্ষেপের আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে নিজের সিদ্ধান্ত তাঁকে জানিয়ে দিতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy