অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, লোকপালের দাবি নিয়ে দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের কংগ্রস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে অরবিন্দ কেজরীওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই কেজরীওয়ালের জনপ্রিয়তার গোড়ায় আঘাত করে নিজেদের জমি ফিরে পেতে কংগ্রেস আজ ঘোষণা করল, দিল্লিতে তারা ক্ষমতায় ফিরলে আরও মজবুত লোকপাল আইন নিয়ে আসবে। কেজরীওয়ালের আমলে দিল্লিতে আবগারি, জল বোর্ড ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে সব দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।
কংগ্রেস আগেই দিল্লির বিধানসভা ভোটের জন্য পাঁচ গ্যারান্টি— মহিলাদের মাসে ২,৫০০ টাকা, ২৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসা, বেকারদের মাসে ৮,৫০০ টাকা ভাতা, ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ও নিখরচায় ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। আজ কংগ্রেস দিল্লি নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করে তার সঙ্গে দিল্লিতেও জাতগণনা, ওবিসি-র ‘ক্রিমি লেয়ার’ চিহ্নিত করার ঊর্ধ্বসীমা ৮ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা, দিল্লিতে নতুন শিক্ষা নীতি, স্কুলের আশপাশে মদের দোকান বন্ধ করা, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, দলিতদের জন্য সারনাথ-বোধগয়ায় নিখরচায় যাত্রার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করল। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে আসা মানুষ বা ‘পূর্বাঞ্চলী’ ভোটারদের মন জিততে দিল্লি সরকারে পৃথক দফতর, মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের সম্পর্ক সাচার কমিটির রিপোর্ট রূপায়ণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কংগ্রেস।
রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে দিল্লিতে প্রচারে নেমে ইন্ডিয়া-র শরিক আপের দিকে দুর্নীতির অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। কংগ্রেসের ইস্তাহার সেই আক্রমণের সুর বাড়িয়ে লোকপাল ও আপ-সরকারের দুর্নীতির তদন্তের কথা বলেছে। কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়েছেন, কেজরীওয়াল তাঁর আন্দোলন শুরু করেছিলেন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সিএজি রিপোর্ট নিয়ে। অথচ তাঁর সরকারের সম্পর্কে সিএজি রিপোর্টে দুর্নীতির কথা থাকায় তা বিধানসভাতে পেশ হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy