Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Rahul Gandhi

রাহুল-পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে ব্যর্থ কংগ্রেস, প্রশ্ন দলে

মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য মানহানির ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল।

Picture of Rahul Gandhi.

রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।

প্রেমাংশু চৌধুরী
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৯
Share: Save:

সাধারণ মানুষের সহানুভূতি অবশ্যই মিলেছে। বিরোধী দলগুলির থেকেও অপ্রত্যাশিত সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজকে অস্ত্র করে যতটা রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যেত, তা পুরোপুরি কুড়িয়ে নেওয়া যায়নি বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। এ জন্য তাঁরা কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন।

মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য মানহানির ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপরে তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাহুল দায়রা আদালতে মামলা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দায়রা আদালত রায় ঘোষণা করতে পারে। গত তিন সপ্তাহে কংগ্রেস রাহুলের সাংসদ পদ খারিজকে নানা ভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু লোকসভার এক প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদের মতে, ‘‘বিজেপি হলে এর তিন গুণ রাজনৈতিক ফায়দা তুলত।’’ ওই কংগ্রেস নেতার মন্তব্য, ‘‘শুধু ভাবুন, কংগ্রেস সরকারে থাকলে যদি অমিত শাহের মতো বিজেপির প্রথম সারির কোনও নেতার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যেত, তা হলে বিজেপি কী পরিমাণ হইচই বাঁধাত?”

রাহুল নিজে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের মতে, নেহরু-গান্ধী পরিবারের এক জনকে লোকসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে শুনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সেই আবেগকে উস্কে দিয়ে ক্ষোভের আগুন তৈরি করা যায়নি। অথচ দল জন-আন্দোলনের ঘোষণা করেছিল। দিল্লির এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘রাহুলকে যে নিজের বাংলো ছাড়তে হচ্ছে, বিজেপি হলে তা নিয়েও আবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করত।’’ কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, লাভ বলতে অরবিন্দ কেজরীওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলা বিরোধী নেতানেত্রীদের এগিয়ে এসে এর সমালোচনা করা।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুলের মামলার গত সপ্তাহে সুরাতের দায়রা আদালতে শুনানি হয়েছিল। অতিরিক্ত বিচারক আর পি মোগেরা রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি রাহুলের সাজার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলে তাঁর সাংসদ পদ ফেরানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোটা কাণ্ডেই ইতি পড়ে যেতে পারে। দায়রা আদালত সাজা বহাল রাখলে কংগ্রেসকে গুজরাত হাই কোর্টে যেতে হবে। তত দিন কংগ্রেস এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার আরও কিছুটা সময় পাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rahul Gandhi Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy