Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Mallikarjun Kharge

Congress-BJP: আদানি গোষ্ঠীকে ছাড় কেন: কংগ্রেস

গত মাসে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে প্রায় তিন হাজার কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর।

মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে।

মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৫১
Share: Save:

গুজরাতে আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দরে আটক মাদকের সঙ্গে এ দেশে সন্ত্রাসী কাজকর্ম চালানোর সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। চলতি সপ্তাহে পাটিয়ালা থেকে এক আফগান নাগরিক গ্রেফতার হওয়ায় ওই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তালিব জঙ্গিদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা। এ দিকে, ওই পরিমাণ মাদক উদ্ধার হওয়া সত্ত্বে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন
তুলে সরব হয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে।

ঘটনাচক্রে, ওই মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার কয়েক দিন পরেই মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান। বিরোধীদের একাংশের দাবি, আদানি সংস্থা বর্তমানে কেন্দ্রের শাসক শিবিরের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের উপর থেকে নজর ঘোরাতেই আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কেন সেই সংস্থার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা খড়্গে। তাঁর কথায়, ‘‘চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, রাঘববোয়ালেরা বহাল তবিয়তে সরকারের পাশে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?’’

গত মাসে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে প্রায় তিন হাজার কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। তদন্তে জানা যায়, আফগানিস্তানের কান্দাহার থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস হয়ে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে দু’টি ৪০ টনের কন্টেনারে ওই মাদক এসে পৌঁছয়। ভারতীয় মূল্যে যার দাম প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। বিজয়ওয়াড়ার একটি সংস্থার নামে ওই মাদক ভারতে আনা হয়েছিল। ওই সংস্থার দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি সপ্তাহে মহম্মদ খান
এক আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করে এনআইএ।

সূত্রের মতে, প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের ধারণা, মাদক বিক্রির টাকা এ দেশে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সম্প্রতি দিল্লিতে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ওই মাদক বিক্রির অর্থও এ দেশে নাশকতার কাজে ব্যবহার হওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি। ওই দু’টি ঘটনার পারস্পরিক কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রের মতে, এ দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইএসআই এবং তালিবদের এ হল পুরনো
কৌশল। অতীতে আফগানিস্তানের আশরফ গনি সরকার মাদকের কারবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, তালিব জঙ্গিরা ক্ষমতায় এসেই ফের ওই ব্যবসা শুরু করেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mallikarjun Kharge Congress BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy