প্রতীকী ছবি।
সিপিএমের সাংসদ-বিধায়করা বেতন হিসেবে যা পান, তার একাংশ দলের তহবিলে জমা করতে হয়। সাত বছর কেন্দ্রে ক্ষমতার বাইরে এবং সিংহভাগ রাজ্যেও ক্ষমতাচ্যুত কংগ্রেসের কোষাগারে টান পড়ায়, এ বার সনিয়া-রাহুল গাঁধীর দলও সিপিএমের মতো লেভি আদায়ের পথে হাঁটছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব এ বার দলের সাংসদদের প্রতি বছরে ৫০ হাজার টাকা করে দলীয় কোষাগারে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিমান সফরের ক্ষেত্রে সাংসদ হিসেবে যে বিমান যাত্রার নিখরচায় টিকিট মেলে, তা কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহমেদ পটেলের মৃত্যুর পরে মনমোহন-সরকারের মন্ত্রী পবন বনসলকে সনিয়া গাঁধী কোষাধ্যক্ষ করেছেন। বনসল বলেন, ‘‘আমি প্রতিটি টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’’
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন দলগুলির বার্ষিক আয়ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত লোকসভা ভোটের বছরে বিজেপির আয় ছিল কংগ্রেসের পাঁচ গুণ। বিজেপি কংগ্রেসের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ অর্থ খরচ করেছে ২০১৯-২০-র নির্বাচনের বছরে। ভোটের বছরে বিজেপির আয় ছিল ৩,৬২৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে নির্বাচনী বন্ড থেকেই বিজেপি ২,৫৫৫ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে। তুলনায় ভোটের বছরে কংগ্রেসের আয় ৬৮২ কোটি টাকা। নির্বাচনী বন্ড থেকে আয় মাত্র ৩১৮ কোটি টাকা।
আয় বাড়ানোরও চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এআইসিসি-র সম্পাদকদের বিদ্যুৎ, সংবাদপত্র, গাড়ির জ্বালানি, অফিসের খরচ, পার্টি অফিসের ক্যান্টিন থেকে চা-জলখাবারের খরচ ন্যূনতম রাখতে বলা হয়েছে। বিমানের বদলে ট্রেনে যাত্রা করারও নির্দেশ গিয়েছে। দলের নির্দেশ, ১,৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত সফরে ট্রেন ভাড়া দেওয়া হবে। তার বেশি দূরত্বে সর্বনিম্ন বিমান ভাড়া দেওয়া হবে। যদি ট্রেন ভাড়া বিমান ভাড়ার থেকে বেশি হয় তবে মাসে দু’বার বিমান ভাড়া দেবে দল। প্রতি সাংসদকে প্রতি বছর কংগ্রেসের প্রতি সহানুভূতিশীল অন্তত দু’জনের কাছ থেকে প্রতি বছর ৪ হাজার টাকা অনুদান চাইতেও বলা হয়েছে। সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক স্তরের নেতারা মাসে ১২ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা ভাতা পান। কমবে তা-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy