—ফাইল চিত্র।
ফের ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কর্নাটকের পর এ বার মধ্যপ্রদেশে। ওই রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের আট বিধায়ককে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গুরুগ্রামের এক অভিজাত হোটেলে ‘আটক’ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রাজ্যে কংগ্রেস সরকার ফেলতে তাঁদের জোর করে আটকে রেখেছে বিজেপি। বিধায়কদের বিশাল অঙ্কের টাকার টোপও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রীরা ওই হোটেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে বিধায়কদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলের পনেরো মাসের মধ্যেই এই অভূতপূর্ব ‘সঙ্কটে’ কমল নাথ সরকার। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের দাবি, তাঁর সরকারের কোনও সঙ্কট হয়নি।
কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তরুণ ভানোতের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করতে তাদের আট বিধায়ককে গুরুগ্রামের ওই হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি। এবং গোটা বিষয়টিই হয়েছে হরিয়ানা পুলিশের মদতে। তাঁর কথায়, “এক জন বিধায়কের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর জয়বর্ধন সিংহ ও জিতু পাটওয়ারি গুরুগ্রামের ওই হোটেলে গিয়েছিলেন। তবে কংগ্রেস মন্ত্রীদের কাউকেই হোটেলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী জিতু পাটওয়ারির কণ্ঠে। তাঁর অভিযোগ, ওই হোটেলের আশপাশে বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, প্রাক্তন মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র, ভূপেন্দ্র সিংহ এবং রামপাল সিংহ-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা জোর করে আমাদের আট বিধায়ককে হরিয়ানার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়েছেন। এ সব কিছুই একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।’’
#WATCH Haryana: Madhya Pradesh Ministers&Congress leaders Jitu Patwari&Jaivardhan Singh leave from ITC Resort in Gurugram's Manesar,taking suspended BSP MLA Ramabai with them.8 MLAs from MP are reportedly being held against their will by BJP at the hotel,Ramabai being one of them pic.twitter.com/VUivVHsaA4
— ANI (@ANI) March 3, 2020
রাত ২টো নাগাদ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের ছেলে জয়বর্ধন সিংহকে ওই হোটেলে পৌঁছতে দেখা যায়। এর পরই কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, হোটেলের ভিতর থেকে কয়েক জন বিধায়ককে বার করে আনতে সমর্থ হয়েছেন তাঁরা। যদিও বুধবার সকাল পর্যন্ত ভিতরে ‘আটক’ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে বলে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে। এ দিন সকালে সংবাদমাধ্যমের কাছে দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টা জানার পর জিতু পাওটয়ারি ও জয়বর্ধন সিংহ ওই হোটেলে যান। যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বলেছেন, তাঁরা ফিরে আসতে চান। আমরা বিসাহুলাল সিংহ ও রমাবাঈের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। বিজেপি আটকানোর চেষ্টা করলেও রমাবাঈ ফিরে এসেছেন।’’ গভীর রাতে ওই হোটেল চত্বর থেকে বেরিয়ে আসার পর জিতু পাটওয়ারির অবশ্য দাবি, ‘‘সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: মুখে শান্তি মোদীর, চুপ দিল্লি নিয়ে
গত রাতে তরুণ ভানোতের মতোই একই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তাঁর দাবি, ‘‘ক্ষমতা দখলের জন্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, প্রাক্তন মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র কংগ্রেস বিধায়কদের ২৫-৩৫ কোটি টাকার টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’
যে আট বিধায়ককে হোটেলে আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে চার জন কংগ্রেসের, দু’জন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), এক জন সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র বিধায়ক। এক জন নির্দল। গত কাল মাঝরাতে ওই অধ্যায়ের পর গভীর রাতে ফের এক প্রস্থ নাটক হয়।
আরও পড়ুন: সব হারিয়েছেন হরি, সাবির, লাভ হল কার
২৩১ আসনবিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগেসের সদস্য ১১৪ জন। অন্য দিকে, বিজেপির দখলে রয়েছে ১০৭টি আসন। বাকি ৯টি আসনের মধ্যে ২টি বিএসপি, সপা-র ১টি এবং ৪টি নির্দলের দখলে রয়েছে।
এই প্রথম নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে এর আগেও বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy