—ফাইল চিত্র।
একে করোনা পরিস্থিতি এবং তার পরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই কারণে পিছিয়েই যেতে পারে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস এবং গোটা সম্মেলন প্রক্রিয়া। তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখা হল দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
দু’দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের শেষ দিনে জবাবি বক্তৃতায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বিভিন্ন রাজ্যে দলের শাখা ও লোকাল কমিটি স্তরে সম্মেলন প্রক্রিয়া আসন্ন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে সম্মেলন করা এখন সম্ভব নয়। তাই নিচু তলার ওই সম্মেলন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকছে। তিন বছর অন্তর সিপিএমে যে সম্মেলন প্রক্রিয়া চলে, তাতে নিচু তলা থেকে শুরু হয়ে ধাপে ধাপে রাজ্য সম্মেলন এবং পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। নিচু তলার সম্মেলন সময়ে না হলে গোটা পর্বই পিছিয়ে যাবে। আগামী বছর যে সময়ে পার্টি কংগ্রেস হওয়ার কথা, তখন বাংলা এবং কেরলের মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোটও আছে। এমতাবস্থায় সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া পথ নেই বলেই মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে পার্টি কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত কবে হবে, সে ব্যাপারে পলিটব্যুরোয় প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করে পরে কেন্দ্রীয় কমিটিতে চূড়ান্ত করা হবে বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত।
দলের এক পলিটব্যুরো সদস্যের বক্তব্য, ‘‘আগামী বছর বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অসমে বিধানসভা ভোট রয়েছে। ভোট সংক্রান্ত কাজের মধ্যে আলাদা সাংগঠনিক কর্মসূচি চালানো মুশকিল। আবার কেরল-সহ নানা রাজ্যে অল্প দিনের মধ্যেই নিচু তলার যে সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল, করোনা পরিস্থিতির জন্য সেটাও সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত সম্মেলন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে হবে, এটা ধরে নিয়েই চলতে হবে এখন।’’ দেশে সিপিএমের দলীয় সদস্যের সংখ্যা এখন প্রায় ১০ লক্ষ। তাঁদের নিয়ে নানা স্তরে বিপুলসংখ্যক সম্মেলন অনলাইনে করাও প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে দল। এর আগে ২০১১ সালেও বাংলা, কেরলের মতো রাজ্যে ভোটের কারণে পার্টি কংগ্রেস এক বছর পিছিয়ে দিয়েছিল সিপিএম।
এ বার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ছিল অনলাইন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় শাখা ও লোকাল কমিটির কাজকর্ম প্রায় শিকেয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ওই সব কমিটির কাজ শুরু করতে বলেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। প্রয়োজনে ডিজিটাল উপকরণের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ত্রাণের কাজ করতে গিয়ে তরুণ প্রজন্ম এবং সমাজের যে সব অংশের সঙ্গে নতুন যোগাযোগ গড়ে উঠেছে, সেখান থেকে নতুন মুখকে সংগঠনের দিকে টেনে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার কথাও বলেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy