প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি যোগী রাজ্যের হাতরাসে গণধর্ষণের পরে নৃশংস অত্যাচারের শিকার ১৯ বছর বয়সি এক দলিত তরুণীকে আজ সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হল। কিছু দিন আগে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল (জেএনএমসি) ভর্তি হয়েছিলেন ওই তরুণী। নিগ্রহের পর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
অভিযুক্তেরা চার জনই ‘উচ্চবর্ণের’। অভিযোগ, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় প্রবল মারধর করা হয় ওই তরুণীকে। শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টাও করে অভিযুক্তেরা। নৃশংস অত্যাচারে জিভেও গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে তরুণীর। গুরুতর জখম শিরদাঁড়া ও ঘাড়। নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। জেএনএমসি-র সুপার হ্যারিস মনজ়ুর খান জানিয়েছেন, এখনও ভেন্টিলেটরেই রাখা হয়েছে নির্যাতিতাকে। নির্যাতিতার পা দু’টি সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। হাতও আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
ওই তরুণীর উপরে হওয়া অত্যাচার উস্কে দিয়েছে আট বছর আগের নির্ভয়া-স্মৃতি।
নির্যাতিতার পরিজন উন্নত চিকিৎসার বন্দোবস্তের জন্য আবেদন জানানোয় আজ সকালে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় ভিমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। নির্যাতিতার পরিজনকে অবিলম্বে নিরাপত্তার বন্দবস্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘যে সমস্ত পুলিশকর্মীদের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা, তাদের কড়া শাস্তির বন্দোবস্ত করতে হবে।’’ নির্যাতিতার পরিজনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দেওয়ার দাবি রাজ্য সরকারের কাছে জানিয়েছেন আজাদ।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাতরাসের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলছে অভিযুক্তদের জেরার কাজ। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। চার্জশিট তৈরির কাজ চলছে। অবিলম্বে সমস্ত তথ্য ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে জমা দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy