প্রতীকী ছবি।
মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিষেবায় চিনের সাইবার হানার তীব্র নিন্দা করে নরেন্দ্র মোদীর পাশেই দাঁড়াল জো বাইডেন প্রশাসন। শুধু তাই নয়, চিনের এই ধরনের কাজ যে বরদাস্ত করা হবে না, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
গত বছরের অক্টোবরে করোনার অতিমারি নিয়ে যখন ভারত যুঝছে, সেই সময় ১২ অক্টোবর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল গোটা মুম্বই। পাওয়ার গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছিল বলে সেই সময় দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে চিনা সাইবার হানার কারণে ঘটেছিল, তা ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর এক রিপোর্টে প্রকাশ পাওয়ার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই সরব হয়েছেন আমেরিকা কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা ফ্রাঙ্ক পালোনে। চিনের এই ধরনের চক্রান্তের তীব্র নিন্দা করে বাইডেন প্রশাসনকে ভারতের পাশে দাঁড়াতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সোমবার এক টুইটে তিনি জানান, ‘চিনের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। এই সাইবার হানার জেরে অতিমারির সময়ে হাসপাতালগুলোকে জেনারেটরের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবা দিতে হয়েছে। চিনের এই কাজের বিরোধিতা করছি।’ চিনের ‘দাদাগিরি’ সহ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পালোনে।
বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আমেরিকা প্রশাসনও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই রিপোর্ট সম্পর্কে তারা অবহিত। আমেরিকার শরিক দেশগুলি যাতে সাইবার হানার শিকার না হয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একটা রাষ্ট্র আর একটা রাষ্ট্রে সাইবার হানা চালাচ্ছে, এটা খুব উদ্বেগের বিষয় বলেও জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তবে একসঙ্গে এই ধরনের হামলার মোকাবিলা করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
The U.S. must stand by our strategic partner and condemn China’s dangerous cyber-attack on India's grid, which forced hospitals to go on generators in the midst of a pandemic.
— Rep. Frank Pallone (@FrankPallone) March 1, 2021
We cannot allow China to dominate the region through force and intimidation. https://t.co/1pMi2TMy3p
গত ১২ অক্টোবর আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে থমকে গিয়েছিল গোটা মায়ানগরী। শহরের ২ কোটি বাসিন্দা তো বটেই, পরিবহণ ব্যবস্থা, শিল্প, হাসপাতাল-সহ জরুরি পরিষেবা থমকে গিয়েছিল। ধস নামে শেয়ার বাজারে। পাওয়ার গ্রিড বসে যাওয়ার কারণ ছিল বিদ্যুৎ পরিষেবায় চিনা হ্যাকারদের হানা। বিশ্বজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা দেখভালকারী সংস্থা ‘রেকর্ডেড ফিউচার’ এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। সেই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ। যদিও এ নিয়ে ভারত সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী নিতিন রাউত সোমবার জানান, নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর দাবি সত্যি বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy