—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন, তবে সকালে ঘুম ভাঙার পর আর নিশ্চিন্ত থাকতে পারলেন না তরুণী। কারণ, চোখ খুলেই সাক্ষাৎ ‘যম’ দেখতে পেলেন তিনি। দেখলেন, তাঁর দুই পা শক্ত করে পেঁচিয়ে রয়েছে বিশাল গোখরো।
উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার দাহোরা গ্রামের ঘটনা। সেখানে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন মিথিলেশ যাদব। ঘরেই দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। গত সোমবার সকালে ঘুম ভাঙার পর তিনি দেখেন, তাঁর দুই পা ভারী ভারী লাগছে। তাকিয়ে দেখতে পান সাপটিকে। তবে আতঙ্কে বুদ্ধি হারাননি তরুণী। উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন।
তরুণী পরে সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁর পাশেই দুই সন্তান ঘুমিয়ে ছিল। পাশের ঘর থেকে মাকে ডেকে বাচ্চাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন তিনি। অতি সন্তর্পণে ঘর খালি করা হয়। তরুণী নড়েননি। তিনি স্থির হয়ে বসে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলেন।
তরুণীকে বাঁচাতে বাড়িতেই পুজো শুরু হয়। প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। একজন সর্প বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থির হয়ে বসে থাকার পর একসময় দেখা যায়, সাপটি নিজে থেকেই তরুণীর পা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সর্প বিশেষজ্ঞ আসার আগেই সাপটি চলে গিয়েছিল। পরে তাকে ধরে লোকালয় থেকে দূরের জঙ্গলে ছেড়ে আসা হয়।
তরুণী জানিয়েছেন, বাঁচার আশা তিনি ছেড়েই দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন, একটুও নড়াচড়া করলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই ধৈর্য ধরে বসে ছিলেন। তাতেই রক্ষা পেয়েছেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি জঙ্গল থেকে খুব একটা দূরে নয়। সেই কারণেই সাপ বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy