ফলপ্রকাশের আগে হিমন্তের সঙ্গে নৈশ বৈঠকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড। ছবি: পিটিআই।
রাত পোহালেই মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। তার আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎই গুয়াহাটি এসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। বিজেপি বা দুই সরকারের তরফে এ খবর প্রকাশ্যে না নিয়ে আসা হলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
কনরাড লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পিএ সাংমার পুত্র তথা ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি (এনপিপি)-র প্রধান। ২০১৮ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছিল এনপিপি। তবে প্রায় ৫ বছর একত্রে সরকার চালানোর পর দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে জোট ভেঙে যায়। এই নির্বাচনে আলাদা আলাদা হয়ে লড়াই করে বিজেপি এবং এনপিপি। গত কয়েক দশকের ‘ঐতিহ্য’ মেনে এ বারেও বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিরোধী কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য আবার বিজেপি এবং এনপিপি হাত মেলাবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই অনুমান, ভোট পরবর্তী জোট সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত করতেই জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন দুই নেতা।
বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে, এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হতে চলেছে এনপিপি। তবে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় আসন না-ও পেতে পারে তারা। মঙ্গলবার হিমন্ত অবশ্য দাবি করেন, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, কোনও রাজ্যেই ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হচ্ছে না। প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতায় আসছে বলে দাবি করেন তিনি। হিমন্ত শুধু অসমের মুখ্যমন্ত্রীই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বিজেপি যে ‘নেডা’ নামের জোট গঠন করেছে, তার প্রধানও বটে। হিমন্ত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, নেডার কোনও সদস্য কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়বে না।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় এনপিপি ৫২টি আসনে লড়ে ২০টি আসনে জয়ী হয়েছিল। অন্য দিকে বিজেপি ৪৭টি আসনে লড়ে ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ৫৭টি আসনে লড়ছে কনরাডের এনপিপি। ৬০টি আসনেই লড়ছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy