কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ ছিল। পড়াশোনার বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আবার স্কুল-কলেজগুলি বন্ধের পথে হাঁটলে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছে শিক্ষামহল।
দিল্লিতে স্কুলগুলিতে পড়ুয়ারা কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে ফের কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আবারও একটা আশঙ্কার মেঘ তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন ঘুরছে ফের কি লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে? কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ ছিল। পড়াশোনার বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আবার স্কুল-কলেজগুলি বন্ধের পথে হাঁটলে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছে শিক্ষামহল।
তবে সংক্রমণ বাড়লেও স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে যেতে চাইছেন না অধিকাংশ কর্তৃপক্ষ। দিল্লির বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করেন, স্কুলগুলি বন্ধ করে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। হতে পারে না। স্কুলে যদি কোনও পড়ুয়া কোভিড আক্রান্ত হন, গোটা স্কুলকে বন্ধ না করে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিকে বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করেন তাঁরা।
দিল্লির এক খ্যাতনামী স্কুলের প্রধান শুভি সোনি জানান, করোনা হয়তো আমাদের জীবন থেকে দূর হবে না। খুব বেশি হলে এটির প্রকোপ কমতে কমতে আগামী দিনে সাধারণ জ্বরের মতো হয়ে দাঁড়াবে। সংক্রমণের ছবিটা যদি দ্রুত বদলাতে শুরু করে ফের, তা হলে সে ক্ষেত্রে ভাগে ভাগে স্কুল চালানো উচিত। সপ্তাহে তিন দিন অফলাইনে এবং দু’দিন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখা উচিত। তবে স্কুল বন্ধ করে দেওয়াটা কোনও ভাবেই সমাধান হতে পারে না। পড়ুয়ারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। ফের যদি আবার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়, তা হলে শিক্ষাব্যবস্থার চরম ক্ষতি হয়ে যাবে বলে মনে করেন শুভি।
রোহিণীর একটি খ্যাতনামী স্কুলের অধ্যক্ষ অনশু মিত্তল আবার জানিয়েছেন, স্কুলে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য কোভিডবিধি ঠিক মতো মেনে চলা দরকার। এবং স্কুল কর্তৃপক্ষেরও উচিত এ বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালানো। স্কুল বন্ধ করে পঠন-পাঠন ব্যবস্থাকে থমকে দেওয়ার কোনও মানে হয় না বলেই মত তাঁর।
দিল্লির বেশ কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১২ শতাংশ বেড়েছে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৭। ২০ ফেব্রুয়ারির পর সোমবার ফের পাঁচশো ছাড়াল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও সংক্রমণের হার কিন্তু রবিবারের তুলনায় কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy