অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
পটনায় বিরোধী শিবিরের বৈঠকে ঐক্যের সুরের মধ্যে বেসুরে বেজেছিল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিরোধ। বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকের সাত দিন আগে ফের সেই কংগ্রেস ও আপের বিবাদ ছন্দপতন ঘটাল। রবিবার রাতে আপ-শাসিত পঞ্জাবে কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও পি সোনি গ্রেফতার হওয়ার পরে কংগ্রেস আজ বিজেপির সঙ্গে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের তুলনা টেনেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি ও আপ, দুই দলই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে।
বেঙ্গালুরুতে ১৭ ও ১৮ জুলাই বিরোধী দলগুলির বৈঠক। কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার আজ জানিয়েছেন, বৈঠকে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীও আসতে পারেন। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে সনিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পটনার বৈঠকে অরবিন্দ কেজরীওয়াল দাবি তুলেছিলেন, দিল্লি আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশের বিরোধিতায় কংগ্রেস যে তাঁকে সমর্থন করবে, তা ঘোষণা করতে হবে। কংগ্রেস এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট না করলে পরের বিরোধী বৈঠকে তাঁর যোগদান নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। তিন দিন আগেও আপ এ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, বাদল অধিবেশনের আগে কংগ্রেস এ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবেও না। যখন অধ্যাদেশকে আইনের চেহারা দেওয়ার জন্য বিল আসবে, তখন বিল নিয়ে বিতর্কের সময়ই কংগ্রেস নিজের অবস্থান জানাবে। দিল্লির আপ সরকার ইতিমধ্যেই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১৭ জুলাই শুনানি হবে। আদালত নিজেই স্থগিতাদেশ বা অধ্যাদেশ খারিজ করে দেয় কি না, তা-ও দেখে নিতে চাইছে কংগ্রেস।
এর মধ্যেই পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা সোনির গ্রেফতারে সংঘাত চরমে উঠেছে। পঞ্জাবের আপ-সরকারের বক্তব্য, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলাতেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের জনসংযোগ দফতরের প্রধান পবন খেরার অভিযোগ, পঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকার মোদী সরকারের মতোই আচরণ করছে। নিজের ব্যর্থতা লুকোতে চাইছে। বদলার রাজনীতি করছে। নিজের দলের দুর্নীতি দেখছে না। ও পি সোনিকে গ্রেফতার আম আদমি পার্টির ওঁচা রাজনীতিরই নমুনা। পঞ্জাব বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিংহ বাজওয়া-রও অভিযোগ, রাজ্যের আপ সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এক দিকে তাঁরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। অন্য দিকে দিল্লির অধ্যাদেশে কংগ্রেসের সাহায্য চাইছে। এটা দ্বিচারিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy