—প্রতীকী ছবি
দেশের রাজধানীতে দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে নিহত হল এক জন। গত কাল রাতে দিল্লির ত্রিলোকপুরী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে আজ পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দিল্লির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশের।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত কাল রাত ১০টা নাগাদ ত্রিলোকপুরী এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। একটি দোকানের কর্মচারীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম ও সইদের দলের সঙ্গে মান্নানের দলবলের গুলির লড়াই হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে এই দুই দলের শত্রুতা। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) জসমিত সিংহ জানিয়েছেন, গত কাল রাত ১০টা নাগাদ মৌর্য বিহার থানায় সংঘর্ষের খবর পৌঁছয়। তিনি বলেন, ‘‘দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের সময়ে মান্নানের ছোড়া গুলিতে আহত হয় সইদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে পাঁচ জন আহত।’’
দিল্লিতে দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, অমিত শাহের পুলিশ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরিবর্তে বিরোধীদের ‘ভুয়ো’ অভিযোগে হেনস্থা করতেই বেশি ব্যস্ত। এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে দিল্লি পুলিশের ভূমিকার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিরোধীদের একাংশ। তাঁদের মতে, অমিত শাহের আমলে দিল্লি পুলিশ ‘দলদাস’-এ পরিণত হয়েছে। এই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ুয়াদের পেটানোর। আবার এই পুলিশকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারী বহিরাগত তাণ্ডবকারীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে গড়িমসির জন্য। এক বিরোধী নেতার কটাক্ষ, ‘‘চলতি বছরে দিল্লি পুলিশের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘শক্ত হাতে দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা করতে হবে। পুলিশ রয়েছে আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য’। এখন তো দিল্লি পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধীদের শায়েস্তা করতে, তারা দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা করবে কখন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy