—ফাইল চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন পরে। আগে সুপ্রিম কোর্টে শবরীমালা মন্দির ঘিরে বিতর্ক থেকে উদ্ভূত বিশ্বাস বনাম প্রার্থনার অধিকারের আইনি প্রশ্নের ফয়সালা হবে বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে।
সিএএ-কে ‘অসাংবিধানিক’ তকমা দেওয়ার দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে ১৪০টির বেশি মামলা হয়েছে। মূল যুক্তি হল, এই আইনে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা হয়েছে। যা সংবিধান-বিরোধী। সুপ্রিম কোর্ট গত ২২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত পিটিশনের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরে আর শুনানি হয়নি।
আজ ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)-এর হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতির সামনে ওই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। তাঁর যুক্তি, ডিসেম্বরে মামলা হলেও এখনও এ বিষয়ে কার্যত কোনও শুনানি হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানান, সাংবিধানিক বেঞ্চে শবরীমালা মামলার শুনানি ১৬ মার্চ শুরু হবে। তার পরে সিএএ-র বিরুদ্ধে সব মামলার শুনানি হবে। সিব্বল বলেন, শুনানি শুরু হতেই এপ্রিল গড়িয়ে যাবে। সে-ক্ষেত্রে মামলাগুলি অর্থহীন হয়ে পড়বে।
মামলাকারীরা আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে ফয়সালার আগে পর্যন্ত আদালত অন্তত সিএএ-তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সব পক্ষের বক্তব্য না-শুনে তাতে রাজি হননি। আজ সিব্বল দাবি তোলেন, আদালত অন্তত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক। তার জন্য দু’ঘণ্টার শুনানিই যথেষ্ট। শুনে প্রধান বিচারপতি সিব্বলকে ফের হোলির ছুটির পরে এই বিষয়টি উল্লেখ করতে বলেন। সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবারের পর থেকে হোলির ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। খুলবে ১৬ মার্চ। সে-দিন থেকে সাংবিধানিক বেঞ্চে শবরীমালা মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা।
আজ সিব্বল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও সব আবেদনের জবাব দেয়নি। প্রধান বিচারপতি তা দিতে বললে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, জবাব তৈরি, দু’দিনের মধ্যে তা জমা দেওয়া হবে।
সিএএ নিয়ে মামলায় জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে জানায়, আগে হিংসা থামুক। তার পরে শুনানি। কিন্তু হিংসা কমেনি। জানুয়ারিতেই সুপ্রিম কোর্ট সিএএ নিয়ে আরও প্রচারের নির্দেশ দেয় এবং তার পরে কেন্দ্রকে সমস্ত মামলার জবাব দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় দেয়। তার পরে আর শুনানি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy