সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে চলছে গ্রীষ্মাবকাশ। শনিবার রাতে বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের মেয়ে সুবর্ণার ভরতনাট্যমের অনুষ্ঠান দেখতে দিল্লির এক প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক বিচারপতি-আইনজীবীই। সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জির জেরে সেই প্রেক্ষাগৃহ থেকেই সক্রিয় হলেন তাঁদের অনেকে।
গুজরাত দাঙ্গার মামলায় জাল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নরেন্দ্র মোদী ও গুজরাত সরকারের তৎকালীন শীর্ষ কর্তাদের ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। গুজরাত হাই কোর্ট গত কাল তাঁর নিয়মিত জামিনের আর্জি খারিজ করে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলে। এর পরে অন্তর্বর্তী জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিস্তা।
ভরতনাট্যমের অনুষ্ঠান চলাকালীনই সেখানে উপস্থিত প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়-সহ বিচারপতি ও আইনজীবীরা জানতে পারেন তিস্তার আর্জির কথা। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় বিচারপতি এ এস ওকা ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। শুনানির কথা জেনেই অনুষ্ঠান ছেড়ে সওয়াল করতে চলে যান গুজরাত সরকারের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। দুই বিচারপতি ভিন্নমত হওয়ায় তাঁরা ওই আর্জি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সে খবর পান প্রধান বিচারপতি। তিনি কিছু ক্ষণের জন্য প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে যান। মিনিট দশেক পরেই অবশ্য ফিরে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি এ এস বোপান্নাকে তিস্তার মামলার কথা জানান প্রধান বিচারপতি। তাঁরা বৃহত্তর বেঞ্চে অংশগ্রহণ করতে রাজি হন। রাত সওয়া ন’টা নাগাদ বিচারপতি গাভাই, বিচারপতি বোপান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বিশেষ বেঞ্চে তিস্তার মামলার শুনানি শুরু হয়। রাত দশটা নাগাদ সেই বেঞ্চ হাই কোর্টের নির্দেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখে। দুই শুনানির মাঝে কিছু ক্ষণের জন্য প্রেক্ষাগৃহে ফিরতে পেরেছিলেন তুষার মেহতা। তিস্তার মামলায় জমজমাট চিত্রনাট্যের সাক্ষী রইল দিল্লির প্রেক্ষাগৃহও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy