Advertisement
E-Paper

আমজনতা পাবেন না ভোটের ভিডিয়ো রেকর্ড

সংশোধনীর আগে নির্বাচনী বিধির ৯৩(২) ধারায় বলা হয়েছিল, ব্যালট পেপার-সহ কয়েকটি নথি ছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত বাকি সব নথি আমজনতা খতিয়ে দেখতে পারবেন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩০
Share
Save

বুথের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রার্থীদের ভিডিয়ো যাতে আমজনতা দেখতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নির্বাচনী বিধি সংশোধন করল কেন্দ্র। সম্প্রতি হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের সময়ের ভিডিয়ো, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও নথির প্রতিলিপি চেয়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মাহমুদ প্রাচা। সেগুলিকে প্রাচাকে দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তার জেরেই যে নির্বাচনী বিধি সংশোধন তা মেনে নিয়েছেন আইন মন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কংগ্রেসের দাবি, এ থেকেই বোঝা যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা দ্রুত কমছে।

সংশোধনীর আগে নির্বাচনী বিধির ৯৩(২) ধারায় বলা হয়েছিল, ব্যালট পেপার-সহ কয়েকটি নথি ছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত বাকি সব নথি আমজনতা খতিয়ে দেখতে পারবেন। কিন্তু সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, ওই বিধিতে উল্লিখিত নথিগুলি আমজনতা খতিয়ে দেখতে পারবেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই বৈদ্যুতিন নথি চাওয়া হচ্ছে। এই সংশোধনীর পরে কেবল বিধিতে উল্লিখিত নথিই খতিয়ে দেখতে পারবেন আমজনতা।’’ তাঁর মতে, মনোনয়ন পত্র, পোলিং এজেন্টদের নিয়োগপত্র, ভোটের ফল ও নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত প্রার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বৈদ্যুতিন নথির নাগাল পাবেন না তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের মতে, বুথের ভিতরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের অপব্যবহার হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভোটারদের গোপনীয়তা। নির্বাচন কর্তাদের অবশ্য ব্যাখ্যা, ‘‘এ সব নথি প্রার্থীরা দেখতে পারেন। সংশোধনীর পরেও তাঁরা এগুলির নাগাল পাবেন। বাকিরা এগুলি দেখতে চাইলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।’’ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে মামলার আবেদনকারী মাহমুদ প্রাচার বক্তব্য, ‘‘চেপে রাখার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে। বিরোধীরা সাহায্য করলে দ্রুতই জিতবে সত্য।’’

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘সূর্যালোকই হল শ্রেষ্ঠ কীটনাশক। তথ্যই প্রক্রিয়ার উপরে বিশ্বাস ফেরাতে পারে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট এই বিষয়টিই মেনে নিয়েছিল। সে জন্যই উচ্চ আদালত আইনগত ভাবে যে সব তথ্য আমজনতাকে জানাতে নির্বাচন কমিশন বাধ্য সেগুলি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা না জানিয়ে বিধি সংশোধন করা হল।’’ আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের কথায়, ‘‘এর অর্থ হল খুব বড় গোলমাল রয়েছে।’’

সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission of India

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}