ফাইল চিত্র।
পালাবদলের জল্পনায় সরগরম বিহার রাজনীতি। বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর ‘গাঁটছড়া’ কি আবারও খুলছে? এই চর্চার আবহেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) সাংসদ চিরাগ পাসোয়ান।
নীতীশকে বিঁধতে গিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাহিনি তুলে ধরে রামবিলাস পাসোয়ান-পুত্র বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় এতটাই গ্রাস করেছে ওঁর মধ্যে যে, রাজা কংসের মতো তিনি মাতা দেবকীর সমস্ত পুত্রকেই হত্যা করতে চান। প্রথমে ওঁরা আমায় আক্রমণ করলেন। এখন রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহকে নিশানা করেছেন। ওঁরা জানেন না যে, নিধনের জন্য অবতার হিসাবে কৃষ্ণ এসেছেন।’’
জেডিইউ নেতাকে নিশানা করে চিরাগ আরও বলেছেন, ‘‘নীতীশ কুমার এখন বলছেন যে, আরসিপি সিংহ দুর্নীতিতে জড়িত। আপনি আপনার শাসনব্যবস্থার সুনাম করতে পারেন। এটা বিহারবাসীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। বিহারের মানুষই এর জবাব দেবে।’’
প্রসঙ্গত, নীতীশের একদা অতি ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন জেডিইউ-এর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি আরসিপি সিংহ। নীতীশের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়, এ নিয়ে জটিলতা বাড়ে। পরে আরসিপিকে আর রাজ্যসভা থেকে মনোনীত করেননি। তাঁর সম্পত্তির হিসাব নিয়ে তদন্তের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেন নীতীশ। এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার দলত্যাগ করে নীতীশকে ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’ বলে নিশানা করেন আরসিপি।
এই ঘটনার পর পরই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাদের দলের কোনও প্রতিনিধি থাকবেন না বলে জানিয়ে দেয় জেডিইউ। যা ঘিরে নীতীশ বনাম বিজেপির দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়। এই ঘোষণার পরেই কংগ্রেস সভানেত্রীকে ফোন করেন নীতীশ। যার জেরে এই পর্ব নয়া মাত্রা পায়। শুধু তাই নয়, সোমবার দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আরজেডি ও কংগ্রেসও আলাদা ভাবে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে ডেকেছে। এই ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে বিহারে আবারও রাজনৈতিক পদ পরিবর্তনের জল্পনা দানা বেঁধেছে। এই প্রেক্ষাপটে নীতীশকে যে ভাবে নিশানা করলেন চিরাগ, তা তাৎপর্যপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy