Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Galwan

গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪২৩ মিটার অন্দরে চিনা শিবির, দাবি উপগ্রহ চিত্রে

১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়ও গালওয়ান উপত্যকায় ঢুকে পড়েছিল লালফৌজ। কিন্তু সে বার ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পরে তারা নিজেদের স্থির করা ১৯৬০ সালের ‘লাইন’ বরাবর থেমে গিয়েছিল।

গালওয়ান নদীর তীরে চিনা শিবিরের উপগ্রহ চিত্র। ছবি: প্ল্যানেট আর্থ

গালওয়ান নদীর তীরে চিনা শিবিরের উপগ্রহ চিত্র। ছবি: প্ল্যানেট আর্থ

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ২০:১৫
Share: Save:

গালওয়ান নদীর ধারে অন্তত ১৬টি তাঁবু আর কালো ত্রিপলের ছাউনি। রয়েছে একটি বড় শিবিরও। আশপাশে ছড়িয়ে ১৪টি সামরিক যান। ২৫ জুনের সংঘর্ষস্থল পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪-র অদূরে এই ‘তৎপরতা’ চিন সেনার! জায়গাটির অবস্থান ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তত ৪২৩ মিটার ভেতরে। ২৫ জুনের উপগ্রহ চিত্র তুলে ধরে সোমবার প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, পিছনো দূর অস্ত, গালওয়ান উপত্যকায় পিপলস লিবারেশন আর্মির উপস্থিতি ক্রমশই জোরদার হচ্ছে। এই আবহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে মঙ্গলবার ফের দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হওয়ার কথা।

গালওয়ান উপত্যকা-সহ লাদাখের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এলএসি’র ‘অবস্থান’ নিয়ে দু’তরফের মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু ১৯৬০ সালে মাও জে দংয়ের সরকার গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার যে অবস্থান চিহ্নিত করেছিল এবার তাকেও লঙ্ঘন করেছে শি চিনফিংয়ের লালফৌজ! ‘হাই রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ষাটের দশকের সেই রেখার অন্তত ৪২৩ মিটার উত্তরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ২৫ জুন চিনা বাহিনীর শিবিরের অবস্থান। আশপাশের পাহাড়ের উঁচু জায়গাগুলিও চিন সেনার নিয়ন্ত্রণে। প্রাক্তন বিদেশসচিব নিরুপমা রাও এদিন বলেন, ‘‘ওদের (চিন) অবস্থানই এখন জোরদার।’’

বিদেশমন্ত্রকে রক্ষিত বিভিন্ন নথিপত্র থেকেও চিন সেনার ১৯৬০ সালের দাবি সম্পর্কে তথ্য মিলেছে। নয়াদিল্লি চিহ্নিত এলএসি-অবস্থান ধরলে চিনা ফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ন’কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে পড়েছে বলে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়ও গালওয়ান উপত্যকায় ঢুকে পড়েছিল লালফৌজ। কিন্তু সে বার ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পরে তারা নিজেদের স্থির করা ১৯৬০ সালের ‘লাইন’ বরাবর থেমে গিয়েছিল। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরে সেই অবস্থান থেকে তারা অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার ১৯৬০ সালের সেই ‘সীমারেখা’ও চিনা সেনা অতিক্রম করেছে।

আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ছ’টি রাফাল বিমান আসছে বায়ুসেনার হাতে, অগস্টে প্রস্তুত হবে যুদ্ধের জন্য

কয়েকদিন আগে ‘ম্যাক্সার২ প্রকাশিত ২২ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, পিপি১৪-র শিবিরের অদূরে গালওয়ান নদীর উপরে কালভার্টও বানিয়েছে চিন। নদীখাতে তৈরি করেছে সামরিক যানবাহন চলাচলের উপোযোগী রাস্তাও। কিন্তু এদিন সামনে আসা আরেকটি উপগ্রহ চিত্রের সঙ্গে প্রকাশিত খবরের দাবি, চিনা ‘আগ্রাসনে’ বাধ সেধেছে প্রকৃতি। প্ল্যানেট ল্যাব স্যাটেলাইটসের ২৫ জুনের ওই ছবিতে বলা হয়েছে, গালওয়ান নদীতে হঠাৎ স্রোত আসায় ধুয়ে গিয়েছে সেই রাস্তা। নদীখাতে অবস্থিত চিনা ফৌজের শিবিরগুলিও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: তিব্বত হতে রাজি নই! কেন্দ্রশাসিত হওয়ার ‘অপমান’ সয়েও বলছে লাদাখ​

অন্য বিষয়গুলি:

Galwan Ladakh PLA LAC China India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy