—প্রতীকী ছবি।
ভারতের সঙ্গে চাপানউতোরের আবহে ২০২২ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে চিন। তৈরি করেছে বহু নতুন পরিকাঠামোও। আমেরিকার পেন্টাগনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করা হয়। পূর্ব (অরুণাচল ও সিকিম), মধ্য (উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ) এবং পশ্চিম (লাদাখ)। ‘ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপলস’ রিপাবলিক অব চায়না’ শীর্ষক পেন্টাগনের এই বছরের রিপোর্টটির দাবি, ২০২২ সালে এই তিনটি সেক্টর বরাবরই নতুন রাস্তা তৈরির কাজ চালিয়ে গিয়েছে চিন। ডোকলামের কাছে মাটির নীচে তৈরি হয়েছে মালপত্র রাখার পরিকাঠামো। ভুটানের কাছে বিতর্কিত এলাকায় নতুন গ্রামই গড়া হয়েছে। প্যাংগং হ্রদে তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় সেতু। সেন্ট্রাল সেক্টরের কাছে একটি বিমানবন্দর গড়েছে চিন, যেটি সামরিক-অসামরিক দু’ভাবেই ব্যবহার করা যায়। প্রস্তুত একাধিক হেলিপ্যাডও।
রিপোর্টের বক্তব্য, গলওয়ান সংঘর্ষের পরে চিনা সেনাবাহিনীর পাঁচটি কমান্ডের অন্যতম, ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বিরাট সংখ্যক সেনাকে সরিয়ে এনে মোতায়েন করেছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। চলতি বছরের বাকি সময়টা ধরেও সেই কর্মকাণ্ড চলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের দাবি, ২০২০ সালের মে মাস থেকেই ভারত সীমান্তের চাপানউতোর নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত-চিন মতপার্থক্যের আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দু’দিকেই গড়ে উঠেছে সামরিক পরিকাঠামো।
পেন্টাগনের রিপোর্টে দাবি, সীমান্তে ভারত-চিন কেউই জমি ছাড়তে রাজি না হওয়ায় আলোচনার অগ্রগতি যৎসামান্য। রিপোর্ট আরও বলছে, ‘২০২২ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পশ্চিম সেক্টরে চিনা সেনা তাদের একটি বর্ডার রেজিমেন্টকে মোতায়েন করে। সঙ্গে যোগ দেয় শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট ও টিবেট মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের দু’টি ডিভিশন। এ ছাড়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার তিনটি সেক্টরেই নিজেদের কম্বাইন্ড আর্মস ব্রিগেডকে নিয়ে আসে চিনা সেনা। সেই বাহিনীর কিছু অংশ পরে সরিয়ে নেওয়া হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও তাদের উপস্থিতি যথেষ্টই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy