সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভাঙা হবে এই অট্টালিকা। ফাইল চিত্র।
বহুতলের মধ্যে বিস্ফোরক রেখে তার পর এক লহমায় তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এমন দৃশ্য তো টিভির পর্দায় দেখেছে তারা। কিন্তু বাস্তবে কখনও চাক্ষুষ করেনি। রবিবার দুপুরে এমনই টানটান দৃশ্য দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে নয়ডার যমজ অট্টালিকা সংলগ্ন এলাকার খুদেরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রবিবার দুপুর আড়াইটেতে গুঁড়িয়ে ফেলা হবে দিল্লির কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই অট্টালিকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে এত উঁচু বাড়ি ভেঙে ফেলার নজির দেখা যায়নি। তাই নয়ডার এই সুউচ্চ বহুতল ধ্বংস ঘিরে ইতিমধ্যেই কৌতূহলের উদ্রেক তৈরি হয়েছে জনমানসে। সেই দলে শামিল খুদেদের দলও।
‘‘তোর কোনও ধারণাই নেই, একে বারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বাড়িটি’’, বন্ধুদের এ কথাই বলছিল অট্টালিকা সংলগ্ন এলাকার ১৪ বছরের কিশোর মহম্মদ জুলফিকর। নিরাপদ দূরত্বে থেকে যাতে এই ধ্বংসলীলা চাক্ষুষ করা যায়, সে জন্য স্থান নির্বাচনও ইতিমধ্যে সেরে নিয়েছে ওই কিশোররা। ১০ বছরের ইরফান যেমন বলেছে, রবিবার আগেভাগেই এমন একটা জায়গায় সে যাবে, যেখান থেকে অট্টালিকা ভাঙার দৃশ্য সবচেয়ে ভাল ভাবে উপভোগ করা যায়।
নয়ডার এই বহুতল ভাঙা ঘিরে প্রশাসনিক মহলে জোর তৎপরতা চোখে পড়েছে। অট্টালিকা চত্বরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। সংবাদমাধ্যমের ভিড়। এমন দৃশ্য তো টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়। বাস্তবে এমন দৃশ্য দেখে তাই খানিকটা বিস্মিত বোধ করেছে ১১ বছরের নাহিদ। তার কথায়, ‘‘শুনেছি, বাড়িটি ওড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রাখা হয়েছে। এ ধরনের দৃশ্য সিনেমায় দেখেছি। বাস্তবে কখনও দেখিনি। তাই ভাঙার দৃশ্য মিস করতে চাই না।’’
যমজ অট্টালিকা ভাঙতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে নয়ডায়। সকাল থেকেই আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কারও কারও মনে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। অনেক বাসিন্দাই এই ফুরসতে বেড়াতে গিয়েছেন। কেউ আবার হোটেলে চলে গিয়েছেন। বহুতল ধ্বংস ঘিরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে, সে জন্য তৎপর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy