বারো মাসের মধ্যে উত্তরাখণ্ডে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী খুঁজতে হবে বিজেপিকে। দলীয় কোন্দল সামলে এ বারের ভোটে উত্তরের রাজ্যটি দখলে রাখতে পেরেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। কিন্তু ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী হেরে গিয়েছেন। ২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে খটিমা কেন্দ্র থেকে জিতে তিনি বিধায়ক হয়েছিলেন, সেখানেই কংগ্রেস প্রার্থী ভুবনচন্দ্র কাপরির কাছে প্রায় সাত হাজার ভোটে হার মানতে হয়েছে বিজেপির তরুণ প্রজন্মের এই নেতাকে। ফলে আবার এক নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার মাথাব্যথা থাকছে বিজেপি নেতৃত্বের।
কার্যত প্রত্যেক পাঁচ বছরে সরকার পাল্টে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। এ বার ক্ষমতাসীন দল না বদলালেও মুখ্যমন্ত্রী হারলেন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের ইতিহাসে ধামী ছাড়াও আরও অন্তত দু’টি নজির হাতের কাছেই রয়েছে। ২০১২ সালে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ভুবনচন্দ্র খান্ডুরি হেরেছিলেন। ২০১৭-য় কংগ্রেসের হরিশ রাওয়তও জয়ের মুখ দেখেননি। ২০২২-এ হারলেন ধামী (এ বারও হেরেছেন হরিশ রাওয়ত)। অর্থাৎ উত্তরাখণ্ডের পরপর তিন জন মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জিতে ফিরতে পারলেন না।
২০১৭ সালে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী হন ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই ইস্তফা দিতে হয় তাঁকে। শোনা যায়,
দলের মধ্যেই ত্রিবেন্দ্রর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। গত বছরের মার্চে ত্রিবেন্দ্রকে সরিয়ে তীরথ সিংহ রাওয়তকে মুখ্যমন্ত্রী করেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সাকুল্যে চার মাসও কুর্সিতে কাটাতে পারেননি তীরথ। দলীয় সূত্রের খবর, অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলাতে না পারার জন্যই সরতে হয় তাঁকে। এর পরে উত্তরাখণ্ডের তরুণতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুর্সিতে বসেছিলেন ধামী।