Advertisement
E-Paper

‘ইয়া ইয়া আবার কী?’ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীর ভাষায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি: ‘এটা ক্যাফে নয়’

সোমবার শীর্ষ আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীর উপর বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ওই আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে দু’বার ‘ইয়া’ শব্দটি ব্যবহার করেন। তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:১৬
Share
Save

সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করতে গিয়ে ‘বিধি-বহির্ভূত’ ভাষা ব্যবহার করায় আইনজীবীর উপর ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘এটা আদালত। কোনও ক্যাফে নয়।’’

সোমবার শীর্ষ আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীর উপর বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। ওই আইনজীবী ছ’বছর আগের একটি মামলার উল্লেখ করে সওয়াল করছিলেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের একটি মামলায় এখন তিনি সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে বিবাদী পক্ষ হিসাবে যুক্ত করতে চান। বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, কোনও জনস্বার্থ মামলায় বিচারপতিকে কী ভাবে যুক্ত করা যেতে পারে? সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারায় ওই ধরনের মামলা করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই ধারা প্রযুক্ত হচ্ছে না, মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তার উত্তরেই ওই আইনজীবী বলেন ওঠেন, ‘‘ইয়া ইয়া.. তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন গগৈ। আমি মামলা করছিলাম...’’, তাঁকে আর বলতে দেননি বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ধমক দিয়ে তিনি বলে ওঠেন, ‘‘এটা কোনও ক্যাফে নয়। ইয়া ইয়া আবার কী ভাষা! এতে আমার অ্যালার্জি আছে। আদালতের মধ্যে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে দেওয়া যায় না।’’ উল্লেখ্য, ‘ইয়া’ শব্দটি ইংরেজি ‘ইয়েস’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ, যার বাংলা অর্থ ‘হ্যাঁ’।

ওই আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বিচারপতি গগৈ এই আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর বেঞ্চে আপনি সাফল্য পাননি বলে এখন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে আপনি জনস্বার্থ মামলা করতে পারেন না।’’

আইনজীবী এর পর যুক্তি দেন, ‘‘একটি বিবৃতিকে বেআইনি বলে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আমি। বিচারপতি গগৈ ওই বিবৃতির উপর ভিত্তি করেই আমার মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। আমার কোনও দোষ ছিল না। আমি প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের কাছেও আমার পুনর্বিবেচনার আবেদন অন্য বেঞ্চে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করা হয়নি, উল্টে আমাকে বরখাস্ত করা হয়।’’ বিচারপতি চন্দ্রচূড় এর পর তাঁকে মনে করিয়ে দেন, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া যায় না। তিনি মামলার আবেদন খতিয়ে দেখে সেখান থেকে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের নাম সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রঞ্জন গগৈ বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ।

CJI DY Chandrachud Supreme Court Lawyer

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।