প্রতীকী ছবি।
করোনার দু’টি টিকা নেওয়া হয়ে গেলে বাস-ট্রেন-মেট্রোয় যথেচ্ছ যাতায়াতে বাধা কোথায়? প্রশ্ন করেছিল বম্বে হাই কোর্ট। এ বার তাদের পরামর্শ, দরকার পড়লে যাঁদের জোড়া টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাঁদের আলাদা ‘পাস’-এর ব্যবস্থা করুক সরকার। ওই পাস দেখিয়ে তাঁরা বাস-ট্রেন-মেট্রোয় উঠবেন। কারণ হাই কোর্টের যুক্তি, টিকা নেওয়ার পরও যদি ঘরেই বসে থাকতে হয়, তবে টিকা নিয়ে কী লাভ!
বৃহস্পতিবার বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই পরামর্শ দিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারকে। দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে সবার আগে মহারাষ্ট্রই। বাংলার মতো সেখানে ট্রেন বন্ধ না হলেও সরকারি চাকুরে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কারও সরকারি যানে ওঠার অনুমতি নেই। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এ ব্যাপারে কড়াকড়ি কমেনি। এমনকি আইনজীবীরা আদালতে যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করেও ট্রেনে ওঠার অনুমতি পাননি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়েই একাধিক লিখিত হলফনামা এবং একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল বম্বে হাই কোর্টে। শুনানি চলাকালীন মহারাষ্ট্র সরকারকে ওই পরামর্শ দেয় আদালত।
বিচারপতি দীপঙ্কর বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন মুম্বইয়ের লাইফলাইন। ট্রেনে সফর করার সুবিধা না থাকায় বহু মানুষ ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছেন। তাঁরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যেতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যখন সংক্রমণ কমছে, তখন কিছুটা উদার হোক সরকার। যাঁরা জোড়া টিকা নিয়েছেন, তাঁদের বাস-ট্রেন-মেট্রোয় অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা করুক।’’
বম্বে হাই কোর্টের এই রায়কে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য স্বাস্থ্য এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শহরে ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বা অ-জরুরি পরিষেবা দেয়, এমন সংস্থার কর্মী। অফিস যেতে না পেরে অনেকেরই বেতন বন্ধ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে। দু’টি টিকা নেওয়া হলে যদি সরকারি যানবাহনে অবাধে ওঠার ‘পাস’ বা অনুমতি পত্র দেওয়া হয়, তবে সুবিধা হবে তাঁদেরও।
যদিও অন্য একটি মহলের মতে, বাংলায় যেখানে টিকার যোগানেরই সমস্যা রয়েছে, সেখানে দু’টি টিকা পাওয়াটাই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এ ব্যাপারে আশা করাটাই অলীক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy