Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sunil Aroroa

নিষিদ্ধ মদই বিহারে ‘কাঁটা’

শুক্রবার বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। —ফাইল চিত্র

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। —ফাইল চিত্র

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

খাতায়কলমে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। অথচ সেই মদের অনুপ্রবেশেই বিঘ্ন ঘটতে পারে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোটের আয়োজনে। তা না হলে খামোকা কেন বিহারে মদের আসা-যাওয়া নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করবে নির্বাচন কমিশন! শুক্রবার বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ছিলেন আরও দুই কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও রাজীব কুমার-সহ অন্য নির্বাচন সদনের অন্য কর্তারা।

যে কোনও রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে ভূমিকা থাকে পড়শি রাজ্যের। বিহারও তার ব্যতিক্রম নয়। সে কারণে সেখানে নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পড়শি তিন রাজ্য ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে ঘুরেফিরে উঠে আসে বিহারে বেআইনি মদের আনাগোনার প্রসঙ্গ। আর মদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনায় তারা কতগুলি বৈঠক করেছেন পড়শি রাজ্যের সঙ্গে, কমিশনের কাছে তার ফিরিস্তি দিতে শুরু করেন বিহার প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের থামিয়ে কিছুটা 'অসন্তোষে'র সুরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মনে করিয়ে দেন, কতগুলি বৈঠক হল, তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই সবের ফলে কতটা কাজ হয়েছে। তেমনই নির্বাচন সদন সূত্রে দাবি। তারপরেই মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে পুলিশ ও আবগারি কর্মী-আধিকারিকরা প্রায় ৬০ হাজার লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করেছেন বলে জানান বিহার প্রশাসনের পদাধিকারীরা।

দিন বারো আগে বিহারে গিয়েছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ভোটে মদের ব্যবহার বন্ধে এই বিষয়ে সঠিক 'ভূমিকা' পালন না করায় দিন কয়েক আগে বিহারের আবগারি কমিশনারকে সরিয়ে দেয় কমিশন। বিহারে মদ, মাদক, বেআইনি সামগ্রী যাওয়ার পথে কীভাবে, কতটা আটকানো হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য বৈঠকে দেন ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এমনকি, এই তিন রাজ্যকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করে কেমন করে মদ-সহ বেআইনি সামগ্রী বিহারের ভোট ময়দানে দাপাদাপি করতে পারে, তা নিয়ে কমিশনকে জানান তাঁরা। সেক্ষেত্রে আরও কোন কোন রাজ্যের আবগারি দফতর এ নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে, তা-ও জানান তিন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। তাই এই তিন রাজ্যকে মদ, মাদক বা বেআইনি পাচার সামগ্রীর বিষয়য়ে নিয়মিত ব্যবধানে জানানোর জন্য বিহার প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন অরোরা।

আরও পড়ুন: রামদাস একাই শরিক মন্ত্রী, বাকি বিজেপির!

আরও পড়ুন: মহার্ঘ বিমানের জন্য ফের কটাক্ষ রাহুলের

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy