— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অক্টোবরের শেষেই মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে ছাড়া হচ্ছে আফ্রিকান চিতাদের। দফায় দফায় চিতাগুলিকে বনে ছাড়া হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়ে দিল পরিবেশ মন্ত্রক।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে বছর দুয়েক আগে আনা হয়েছিল নামিবিয়ার একদল চিতা। কিন্তু তার পর থেকেই একের পর এক চিতার মৃত্যুতে চিন্তা বাড়ে বন দফতরের। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বছরখানেক কড়়া নজরদারিতে রাখার পর তাদের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
গত অগস্টে চিতা স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান রাজেশ গোপাল বলেন, ‘‘ওদের এক এক করে জঙ্গলে ছাড়া হবে। আমরা ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। বর্ষা শেষ হলেই ওই চিতাগুলিকে বনে ছাড়তে শুরু করবে বন দফতর।’’ সেই মতো শুরু হয় প্রস্তুতি। নতুন পরিবেশে চিতারা আদৌ মানিয়ে নিতে পারছে কি না, তা দেখতে প্রাথমিক ভাবে ছাড়া হবে বায়ু এবং অগ্নি নামে দুই চিতাকে। তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বিশেষ কলারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা কেমন থাকছে, তা পর্যবেক্ষণের পরেই এক এক করে বাকি চিতাদের ছাড়বে বন দফতর।
গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে একদল চিতাকে ভারতে আনা হয়। সেই পর্যায়ে ভারতে এসে পৌঁছয় আটটি চিতা। পরের লপ্তে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ আরও ১২টি চিতাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আনা হয়। কিন্তু তার পর থেকে একের পর এক চিতার মৃত্যুতে চিন্তায় ঘুম উড়েছিল বন দফতরের। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে আটটি চিতা। এর মধ্যে পিঠ ও ঘাড়ে সেপ্টিসেমিয়ার কারণে তিনটি পূর্ণবয়স্ক চিতার মৃত্যু হয়েছে। কুনোতে এখন সব মিলিয়ে ২৪টি চিতা রয়েছে, যার মধ্যে ১২টি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২টি শাবক, যাদের জন্ম ভারতেই। নজরদারির জন্য বাকি চিতাগুলিকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখা হয়। এ বার সেই চিতাগুলিকেই জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy