Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Jharkhand Political Crisis

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নতুন সোরেন, মন্ত্রী হলেন কংগ্রেস, আরজেডির দুই বিধায়ক

বুধবার হেমন্ত সোরেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পটভূমিকা বদলে যায়। তাঁর পরে কে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।

Champai Soren take oath as new Chief Minister of Jharkhand on Friday

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন চম্পই সোরেন। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৯
Share: Save:

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা তথা দলের সহ সভাপতি চম্পই সোরেন। শুক্রবার রাঁচীর রাজভবনে চম্পইকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। নয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম এবং লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সত্যানন্দ ভোগতা। আলমগির এবং সত্যানন্দ, দু’জনেই আগে হেমন্ত সোরেন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে চম্পইকে। সোরেন-জোটের প্রথম ‘ভয়’ এই সময়সীমা নিয়ে। কারণ, ১০ দিনের মধ্যে বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অতীতে এমন উদাহরণ বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ‘জাদুসংখ্যা’ ৪১। শাসক জোটের হাতে রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। এর মধ্যে হেমন্ত গ্রেফতার হওয়ায় তিনি বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। বর্তমানে চম্পইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি চার জনের দেখা পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসুর ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। অতীতে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিধায়ক কেনাবেচা’র অভিযোগ উঠেছে।

ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণ বৃহস্পতিবারই চম্পইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বুধবার হেমন্ত ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পটভূমিকা বদলে যায়। তাঁর পরে কে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। জেএমএম সূত্রে জানা যায়, হেমন্তের ইচ্ছা ছিল স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জোট এবং সোরেন পরিবারের মধ্যেই কল্পনাকে নিয়ে আপত্তি ছিল। শেষ পর্যন্ত চম্পই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যান। শাসক বিধায়কদের সকলেই তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান।

চম্পই কবে শপথ নেবেন, তা নিয়েও প্রথমে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেএমএম নেতা চম্পই, কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম, সিপিআই (এমএল)-এর বিনোদ সিংহ এবং জেভিএম (বর্তমানে কংগ্রেস) বিধায়ক প্রদীপ যাদব রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তখনও জট কাটেনি। রাজ্যপালের থেকে প্রথমে কোনও আশ্বাস মেলেনি। তবে রাতে রাজভবন চম্পইকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করানোর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয়।

বিধায়ক ‘কেনাবেচা’ যে হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকেই বিজেপি-বিরোধী মহাজোটের ৩৯ জন বিধায়ককে দু’টি চার্টার্ড বিমানে কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের কোনও রিসর্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাজভবন থেকে বেরোনোর সময় চম্পই বলেছিলেন, ‘‘আমরা ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাঁচীর সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি।’’ কিন্তু রাঁচী থেকে তাঁদের বিমান উড়তেই পারেনি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। এর খানিক পরেই চম্পইকে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE