সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র।
নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে অসমের একাধিক সংগঠন। আজ সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। মামলার কেন্দ্র অসম হলেও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, সীমান্ত রক্ষা-সহ নানা বিষয়ে বারবার উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভল্লার তরফে পেশ করা হলফনামায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা তথা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সীমান্ত সিল করা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার ফলে সেই কাজ ঝুলে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের ৪৩৫.৫০৪ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া বসানো যায়নি। তার মধ্যে ২৮৬.৩৫ কিলোমিটার অংশে জমির অধিগ্রহণের জন্য কাজ থমকে।
কেন্দ্র জানায়. জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়েও ধীরে চলো নীতি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ‘জমি অধিগ্রহণে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, অধিগ্রহণে স্বচ্ছতা ও পুনর্বাসন আইন, ২০২৩ আইন’ (‘রাইট টু ফেয়ার কমপেনসেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি ইন ল্যান্ড অ্যাকিউজ়িশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাক্ট, ২০২৩’) গ্রহণ করেনি রাজ্য। তার বদলে অনেক ধীরগতির ও জটিল সরাসরি জমি কেনার নীতি (‘ডিরেক্ট ল্যান্ড পারচেজ় পলিসি’) নিয়ে এগোচ্ছে তারা। আগের আইনটি অনুসরণ করলে জরুরি প্রয়োজনে সরকার জনস্বার্থে যে কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার জমি দ্রুত জোগাড় করে কেন্দ্রকে দিলে কেন্দ্র অবিলম্বে বেড়া বসানোর কাজ সেরে ফেলত। এ দিনের শুনানিতেও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে এই তথ্য উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি কেন্দ্রের হলফনামায় জানানো হয়, অসম-বাংলাদেশের ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ২১০ কিলোমিটারে বেড়া বসেছে। বাকি বেড়া বসানো সম্ভব নয় এমন সীমান্তে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চলছে। অসমের ২৩ জেলায় অনুপ্রবেশ রুখতে তৈরি হয়েছে ১৫৯টি নজরদারি পোস্ট।
অনুপ্রবেশ ও বাংলাদেশি সমস্যা সম্পর্কে হলফনামায় কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, অবৈধ শরণার্থীদের খুঁজে বার করা, বিচার করা, বন্দি রাখা ও ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অতি জটিল ও সময়সাপেক্ষ। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে অসমে ঢোকা কত জন বাংলাদেশি ৬এ ধারায় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন? কেন্দ্র জানায়, সংখ্যাটি মাত্র ১৭,৮৬১। কিন্তু ১৯৭১ সালের পরে কত জন বাংলাদেশি অসমে এসেছেন, তা নিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy