ফাইল চিত্র
ভারত বায়োটেক সংস্থার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন দ্রুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেতে চলেছে বলে দাবি করল কেন্দ্র। সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের সঙ্গে ওই প্রতিষেধকের জরুরি ছাড়পত্র পাওয়া জড়িত। তাই হু যাতে দ্রুত কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেয়, সেই দাবিতে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তব্য রাখতে আমেরিকা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে এটিই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হতে চলেছে। অতিমারির সময়ে বিদেশ সফরের জন্য অধিকাংশ দেশই প্রতিষেধকের টিকা নেওয়াকে আবশ্যিক শর্ত হিসাবে রেখেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন বা ইউরোপের মতো দেশগুলি এ ক্ষেত্রে হু-র ছাড়পত্র পাওয়া করোনা টিকাগুলিকেই স্বীকৃত টিকা হিসাবে মানত্য দিয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা হু-স্বীকৃত টিকা, যেমন আমেরিকার ফাইজ়ার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না, চিনের সিনোফার্ম ও ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার টিকা নিয়েছেন, তাঁদের ওই সব দেশে ঢুকতে দিতে সমস্যা নেই। কিন্তু ভারতে যে প্রতিষেধকগুলির মাধ্যমে টিকাকরণ চলছে, সেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন কিংবা
রাশিয়ার স্পুটনিক প্রতিষেধক— কারও কপালেই হু-র ছাড়পত্র জোটেনি। ফলে ওই টিকাগুলি নিয়ে যাঁরা বিদেশে গিয়েছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু দিন বাধ্যতামূলক ভাবে বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হয়েছে।
মোদী কোভ্যাক্সিনের দু’টি ডোজ় ইতিমধ্যেই নিয়েছেন। কিন্তু কোভ্যাক্সিন এখনও হু-এর স্বীকৃতি না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি ছড়িয়েছে সর্বস্তরে। প্রশ্ন উঠেছে, সে ক্ষেত্রে কি প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া কোভ্যাক্সিনের দু’টি টিকার ডোজ়কে মেনে নেবে আমেরিকা, না কি নিয়মমাফিক বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেও!
অস্বস্তিতে পড়া স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, এই সমস্যার সমাধান একটাই। যত দ্রুত সম্ভব (প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই) হু-র ছাড়পত্র পাওয়া। সেই লক্ষ্যে তদ্বিরও শুরু হয়েছে। ঘটনাচক্রে গত ৩ জুলাই নিজেদের তৃতীয় দফার ফলাফল ঘোষণা করে কোভ্যাক্সিন। যাতে বলা হয়েছে, ওই প্রতিষেধকের ব্যবহারে ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব হয়েছে। তৃতীয় দফার গবেষণায় সাফল্য পেতেই তড়িঘড়ি বিশ্বব্যাপী জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য হু-র কাছে গত ৯ জুলাই ছাড়পত্রের আবেদন জানায় ভারত বায়োটেক। যা দু’মাস ধরে আটকে রয়েছে। যদিও নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ কুমার পলের দাবি, ‘‘হু-তে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রশ্নে গবেষণার ফলাফল খতিয়ে দেখার কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা আশা করছি, এ মাসের শেষের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে যাবে কোভ্যাক্সিন। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, হু গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে যেহেতু ওই প্রতিষেধক
প্রাপকদের সঙ্গে বিদেশ সফর জড়িত রয়েছে, আমরা তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy