ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট ক্ষেত্রে অনলাইন কাজের জন্য ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক’ বা ভিপিএন পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলির কাছে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, যা নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রাহকেরা তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কোথায় কার সঙ্গে কী যোগাযোগ করছে, তার সম্পূর্ণ তথ্য ভান্ডার ভিপিএন পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলোকে রাখতে হবে। এই সব তথ্য অন্তত ৫ বছর ধরে তাদের কাছে যত্ন করে রাখতে হবে, এবং কেন্দ্র চাইলেই তা দিতে হবে। অন্যথায় সংস্থাগুলোর কর্ণধারদের কড়া শাস্তির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
এই নির্দেশিকায় শুধু যে ভিপিএন পরিষেবা সংস্থাগুলির সমস্যা বাড়ল তা নয়, ভিপিএন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত পরিসরও সরকারি নজরদারির আওতায় পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধী রাজনীতিকেরা। তাঁদের কথায়, বিশ্বের মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ‘স্বৈরাচারী’ দেশে ভিপিএন পরিষেবা হয় নিষিদ্ধ, না হয় নিয়ন্ত্রিত। চিন, উত্তর কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান, তুরস্ক, বেলারুশ ও রাশিয়ার সঙ্গে এ বার এক তালিকায় ভারতের নাম যুক্ত হবে। এমনিতেই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারত পিছিয়েই চলেছে। তার উপরে নতুন নির্দেশিকা ব্যক্তিগত পরিসরে সরকারের নজরদারি আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটে বলেছেন, ‘সরকারের নতুন নির্দেশিকার পরে ভিপিএন-এর অর্থ দাঁড়াল ‘ভার্চুয়াল পুলিশিং নেটওয়ার্ক’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy