রবিবার সকালে বান্দ্রা স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। ভোরে ন’জন যাত্রী পদপিষ্ট হয়েছেন এই স্টেশনে। ছবি: পিটিআই।
রবিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ন’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবারের ঘটনার পর যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে বেশ কিছু স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, দাদর, ঠাণে, কল্যাণ, পুনে, নাগপুর এবং লোকমান্য তিলক টার্মিনাসে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কেবল মাত্র প্রবীণ নাগরিক এবং অসুস্থ যাত্রীদের এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে মধ্য রেল।
মধ্য রেলের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, দীপাবলি এবং ছট পুজোর মরসুমে যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতেই সাময়িক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরগামী একটি ট্রেনে উঠতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে জখম হন ন’জন যাত্রী। অসংরক্ষিত টিকিটের বান্দ্রা-গোরক্ষপুর অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসটি নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছিল প্ল্যাটফর্মে। ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। কিন্তু ভোর ৩টেরও আগে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে গিয়েছিল ট্রেন। তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হয়ে জখম হন ন’জন।
এই ঘটনার পর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) জানিয়েছিল, দীপাবলি উপলক্ষে অনেকেই বাড়ি ফিরছিলেন। মুম্বইয়ের বান্দ্রা থেকে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এই ট্রেনটিতে কোনও সংরক্ষিত কামরা নেই। পুরো ট্রেনটিই অসংরক্ষিত কামরার। বিএমসি জানিয়েছে, ট্রেনে ওঠার সময়ই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় যাত্রীদের মধ্যে। প্ল্যাটফর্মেই ভিড়ের মধ্যে পড়ে যান অনেকে। দুর্ঘটনার পর দ্রুত আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা স্থিতিশীল হলেই দু’জন আশঙ্কাজনক। জখমরা প্রত্যেকেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
বান্দ্রা স্টেশনের এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে ট্রেন ধরার জন্য যাত্রীরা ঠেলাঠেলি করছেন। আবার কিছু ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্ল্যাটফর্মের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কয়েক জন। তাঁদের উদ্ধার করতে ছুটে আসেন রেলপুলিশের কর্মীরা। অন্য যাত্রীরা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আহতদের স্ট্রেচারে করে ভিড় থেকে সরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy