ফাইল চিত্র।
বিমায় ৭৪% প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির (এফডিআই) দরজা খুলেছে আগেই। এ বার পেনশনেও সেই একই পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, শীঘ্রই পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিএফআরডিএ) আইন, ২০১৩-র সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এ জন্য সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিল পেশ করতে পারে মোদী সরকার। যার আওতায় পিএফআরডিএ থেকে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) ট্রাস্টকে আলাদা করা এবং পেনশন ক্ষেত্রে এফডিআই-এর সীমা ৪৯% থেকে বাড়িয়ে ৭৪% করার মতো প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিমা সংস্থাগুলিতে জীবন ও স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গাড়ি-বাড়ির মতো সম্পত্তির সুরক্ষার জন্য টাকা রাখেন বিমাকারী। আর পেনশন তহবিলে জমে তাঁদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়। এই দুই ক্ষেত্রেই যদি বিদেশি লগ্নির সীমা বাড়ে, তা হলে সাধারণ মানুষের কষ্টের টাকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। যে কারণে প্রস্তাব এলে বিভিন্ন মহল থেকেই আপত্তি উঠবে বলেও মনে করছে তারা।
এ প্রসঙ্গে রবিবার রাজ্য আইএনটিইউসি-র সভাপতি কামারুজ্জমান কামারও বলেন, ‘‘আমরা এ ধরনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী। পেনশন প্রকল্পে দীর্ঘ মেয়াদে টাকা জমান সাধারণ মানুষ। বিদেশি লগ্নি এলে সেই টাকার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হবে। বিদেশি সংস্থাগুলি নিজেদের দেশেই লাভের টাকা নিয়ে যাবে। এখানকার পেনশন ফান্ডের উন্নতি ধাক্কা খাবে।’’
এ দিকে, এনপিএস-কে আরও ভাল ভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে প্রায় বছর দুয়েক ধরেই তাদের অছি পরিষদকে (এনপিএস ট্রাস্ট) পিএফআরডিএ-র আওতায় থেকে বার করে আনার কথা চালাচ্ছে মোদী সরকার। খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও লগ্নিকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই পথে হাঁটার কথা বলেছেন। সূত্রের খবর, এ বার সে জন্য সংশোধনী এনে তাকে আলাদা ট্রাস্ট বা কোম্পানি আইনের আওতায় আনার কথাও ভাবা হচ্ছে। যার পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের পর্ষদ গড়া হতে পারে। বেশির ভাগ সদস্যই হবেন কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধি।
২০০৪ সাল থেকে পুরনো পেনশন প্রকল্পের পরিবর্তে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) চালু করেছিল কেন্দ্র। প্রথমে তা আনা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। পরে অন্যান্য ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্যও প্রকল্পটি খুলে দেওয়া হয়। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে যে সব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সকলের ক্ষেত্রে এনপিএস বাধ্যতামূলক।
বর্তমান নিয়ম অনুসারে, এনপিএসের সঙ্গেই অটল পেনশন যোজনার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে পিএফআরডিএ। আর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ফান্ড ম্যানেজার, ফান্ড সংস্থা ইত্যাদির সঙ্গে যোগাযোগ ও তহবিল পরিচালনা করে এনপিএস ট্রাস্ট। অছি পরিষদের চেয়ারম্যান অতনু সেনের মতে, ‘‘ট্রাস্ট এবং পিএফআরডিএ আলাদা হলে কার এক্তিয়ারে কী থাকবে, সে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। সে ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ও লাইসেন্স দেওয়া, জরিমানার করার মতো কাজ থাকবে পিএফআরডিএ-র হাতে। আর সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তহবিল পরিচালনা করবে এনপিএস ট্রাস্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy