গত বৃহস্পতিবার আজনালা থানায় হওয়া সংঘর্ষ। —ছবি: পিটিআই।
পঞ্জাবে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে খলিস্তানি আন্দোলন। খলিস্তানি আন্দোলনের নয়া মুখ হিসেবে উঠে আসার চেষ্টা করছেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা অমৃতপাল সিংহ। বিভিন্ন ঘটনায় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লাঠি-তরোয়াল নিয়ে থানায় চড়াও হচ্ছেন খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীরা। তা সত্ত্বেও এ বিষয়ে কার্যত এখনও নীরব নরেন্দ্র মোদী সরকার। যে নীরবতা জন্ম দিয়েছে একাধিক প্রশ্নেরও। সরকারের শীর্ষ সূত্রের মতে, আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র।
সাধারণত কোনও বিরোধী রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে পান থেকে চুন খসলে রিপোর্ট তলব করে থাকে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানে খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহ খোদ অমিত শাহকে ঘুরিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের কাছে কোনও রিপোর্ট চাওয়া হয়নি। রাজনীতির অনেকের মতে, এ ধরনের খলিস্তানপন্থী আন্দোলন পঞ্জাবে যত বাড়বে তত ওই রাজ্যের ভগবন্ত মানের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সরকার যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, সেই তত্ত্ব প্রমাণিত হবে। তা ছাড়া রাজ্যে খলিস্তানপন্থীদের ওই বাড়বাড়ন্তে ক্রমশ আপ নেতৃত্বের উপর ভরসা হারাচ্ছে সে রাজ্যের হিন্দু সমাজ। এতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের ফল ভাল হবে বলেই আশা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই ওই ইচ্ছাকৃত নীরবতা বলে মনে করছেন অনেকে। একই সঙ্গে মান সরকার যে প্রশাসন চালানোর প্রশ্নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সেই ধারণাও ক্রমশ প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করেছে দেশের অন্যত্র। ফলে ঘুরিয়ে আঙুল উঠতে শুরু করেছে আপের শীর্ষ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দিকেও। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব দিল্লি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সরব রয়েছেন কেজরীওয়াল। তা যদি সত্যিই দেওয়া হত তাহলে এত দিনে খলিস্তানপন্থীদের আন্দোলনের কেন্দ্রে পরিণত হত দিল্লি।’’ গত সপ্তাহেই খলিস্তানপন্থী সংগঠন খলিস্তান টাইগার ফোর্স ও খলিস্তানপন্থী সংগঠন বব্বর খালসার নেতা হরবিন্দর সিংহকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশে খলিস্তানপন্থী আন্দোলন দমনে সে দেশের সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার পরেও পঞ্জাব প্রশ্নে কেন কেন্দ্র নীরব সেই প্রশ্নের উত্তরে এক স্বরাষ্ট্র কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সময়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’ সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার আজনালা থানায় হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে এখনও পঞ্জাব সরকারের কাছে কোনও রিপোর্ট চাওয়া হয়নি। তবে একই সঙ্গে সরকারের একটি সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনে খলিস্তানি আন্দোলন ও এ নিয়ে ঘটা সংঘর্ষের তদন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। রাজনীতির অনেকের মতে, আসলে পঞ্জাবের পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ওই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুযোগ পাবে মোদী সরকার। অনেকেই মনে করছেন, আপাতত তাই কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইছে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy