ফাইল চিত্র।
প্রতিষেধক নেননি এমন ব্যক্তি তো বটেই, অনেক সময়ে মৃত ব্যক্তিদের নামেও প্রতিষেধক নেওয়ার শংসাপত্র যে জারি হচ্ছে, তা স্বীকার করল কেন্দ্র। লোকসভায় আজ ওই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিতে ওই ঘটনা ঘটেছে।
দেশে প্রতিষেধকের শংসাপত্রের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গোড়া থেকে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশের কোনও কোনও প্রান্তে প্রতিষেধক নেননি এমন ব্যক্তির নামে প্রতিষেধক প্রাপ্তির শংসাপত্র জারি হয়েছে। রেহাই পাননি মৃতরা। অভিযোগগুলি সত্য কি না, তা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পওয়ার জানান, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় দেখা গিয়েছে এমন কিছু ব্যক্তির নামে প্রতিষেধকের শংসাপত্র জারি হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। দ্বিতীয় দফার প্রতিষেধক নেননি এমন ব্যক্তির নামে দু’টি প্রতিষেধক নেওয়ার শংসাপত্র জারি হয়েছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তবে গোটাটাই অনিচ্ছাকৃত মানবীয় ত্রুটি অর্থাৎ যে ব্যক্তি ‘ডেটা এনট্রি’ করছিলেন বা তথ্য সংগ্রহ করে তা নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যারে তোলার দায়িত্বে ছিলেন যিনি, মূলত তাঁর ভুলের কারণেই ঘটেছে।
সম্প্রতি এ দেশে প্রতিষেধকের দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের ইংল্যান্ডে প্রবেশ করলে নির্দিষ্ট দিনের পৃথকাবাস বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছিল সে দেশের বরিস জনসন সরকার। ভারতে প্রতিষেধকের ভুয়ো শংসাপত্র পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠাতেই ভারতীয়দের পৃথকাবাসের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। যদিও আজ কেন্দ্র দাবি করেছে, এ ধরনের অবাঞ্চিত ঘটনা রুখতে দ্বিতীয় ডোজ টিকাকরণের আগে প্রত্যেকের পরিচয় পত্র ভাল করে খুঁটিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy