গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মূলত লোকসভা ও বিধানসভা আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়েই আলোচনা করতে চান বলেই নরেন্দ্র মোদী সরকার সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হল।
২৪ জুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীরের ১৪ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে এই প্রথম কাশ্মীরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করতে চাইছে দিল্লি। জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আগে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করতে চায় কেন্দ্র। বিরোধীদের দাবি, পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে জম্মুর আসন বাড়িয়ে সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়। আজ সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়, মূলত আসন পুনর্বিন্যাস নিয়েই কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া নিয়েও কথা হতে পারে। কিন্তু সে বিষয়ে এখনই কোনও পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। তাছাড়া ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করলে সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন।
কংগ্রেসের তরফে আজ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। দলীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানান, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা রদ করাকে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক নীতির উপরে আঘাত বলে মনে করে কংগ্রেস। তবে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে কংগ্রেস অংশগ্রহণ করবে কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
মেহবুবা মুফতির পিডিপি-র মুখপাত্র সুহেল বুখারি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার উপরে জোর দিচ্ছেন মেহবুবা। তাই কাশ্মীরের দলগুলির গুপকর জোটের তরফে দু’জন প্রতিনিধি দিল্লির বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। আজ এই বিষয়ে দলের রাজনৈতিক কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। দু’দিনের মধ্যেই গুপকর জোটের বৈঠক হবে। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ন্যাশনাল কনফারেন্স সূত্রের ইঙ্গিত, তাদের তরফে ফারুক আবদুল্লা বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন প্রবীণ সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy